নিজস্ব প্রতিবেদন: আবাসনে নিরাপত্তারক্ষার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। প্রতিদিনের মতো আবাসনের প্রধান গেটের বাইরে কর্তব্যরত ছিলেন। সেসময়ই উপর থেকে একটি পাইপ ভেঙে এসে পড়ে তাঁর মাথায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নিরাপত্তারক্ষীর। দুর্ঘটনায় নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু ও মৃত্যুর কারণ হিসাবে পুলিসের ভুল ব্যাখ্যা ঘিরে বৃহস্পতিবার সকালে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাইল্যান্ড পার্কের একটি আবাসন। দেহ আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: রাজাবাজার যে মাংস হোটেলে সরবরাহ হত, তা আসলে কী মাংস জানেন?


প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবারও হাইল্যান্ড পার্কের ওই আবাসনে কাজে গিয়েছিলেন পেশায় নিরাপত্তারক্ষী উমেশ ঠাকুর। মেন গেটের সামনেই চেয়ার নিয়ে বসেছিলেন তিনি। আচমকাই আবাসনের ওপর থেকে একটি পাইপ ভেঙে তাঁর মাথায় পড়ে। মাথার উপরের অংশ ফেটে রক্ত বেরোতে থাকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় উমেশ ঠাকুরের।


আরও পড়ুন: শাঁখা-সিঁদুর পরে অন্য পুরুষের পাশে হবু স্ত্রী! ফেসবুকে ছবি দেখেই বিয়ে বাতিল


এরপরই ক্ষেপে ওঠেন মৃত নিরাপত্তারক্ষীর আত্মীয় ও অন্য নিরাপত্তরক্ষীরা। আবাসনের সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। ডিসি পৌঁছলে, তাঁকে ঘিরেও চলতে থাকে বিক্ষোভ।


কিন্তু হঠাত্ পুলিসের ওপর কেন ক্ষোভ উগরে দিলেন স্থানীয়রা?


অভিযোগ, পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছয়ে দেহ উদ্ধারের চেষ্টা করে। সেসময় উচ্চ পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে ফোনে বিষয়টি জানানোর সময় নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু ভুল ব্যাখ্যা করেন কর্তব্যরত পুলিস আধিকারিক। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, ময়নাতদন্ত না করেই পুলিস আগে থেকে এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে চালাতে চেয়েছিল। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। পুলিসকে ঘিরে চলে বিক্ষোভ। পরিস্থিতি সামলাতে লালবাজার থেকে অতিরিক্ত পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।