বিক্রম দাস: টাকার খাঁই মেটাতে নিজেকে অপহরণের নাটক। কিন্তু, শেষরক্ষা হল না। নিজের জালে নিজেই ফেঁসে গেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। সোনারপুরের ঘটনা। আপাতত ঠিকানা শ্রীঘর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নাম সন্দীপ রায়। স্বামী বিবেকানন্দ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র। আর পাঁচটা দিনের মতোই সোমবারও কলেজ বেরিয়েছিল সন্দীপ। দুপুরে আচমকাই মাকে ফোন। সন্দীপ বলে, তিনজন যুবক তাকে কিডন্যাপ করেছে। মুক্তিপণ বাবদ এক লক্ষ ৬০ হাজার টাকা দাবি করছে। এক্ষুনি মিশন পল্লি সারদা স্কুলের সামনে টাকা পৌঁছে দিতে হবে। না দিলে তাকে খুন করা হবে। চিন্তিত মা যোগাযোগ করেন সোনারপুর থানায়।


তদন্তে শুরু করে পুলিস। তদন্তে দেখা যায়, অনেকক্ষণ ফোন অন ছিল সন্দীপের। গড়িয়া থেকে পাটুলির মধ্যে লোকেশন দেখাচ্ছিল ফোনের। মোবাইল ট্রাক করতে তদন্তকারীরা বুঝতে পারেন নিউ গড়িয়া থেকে পাটুলির মধ্যে উকিলা বলে এক জায়গায় বার বার গিয়েছে সন্দীপ।


আরও পড়ুন- যত কথা হচ্ছে, ডেঙ্গি দমনে তত কাজ হচ্ছে কই? প্রশ্ন মেটিয়াবুরুজের


তদন্তকারীরা জানতে পারেন, উকিলায় সন্দীপের কাছের বন্ধু জুলফিকারের বাড়ি। তড়িঘড়ি বাড়ি থেকে জুলফিকারকে তুলে আনা হয়, শুরু হয় জেরা।


অপহরণের নাটক?


ফাঁস হয় আসল রহস্য। জুলফিকার জানায়, অপহরণের নাটক ফেঁদেছে সন্দীপই। তার কথা মতোই পাটুলি থেকে নিউ গড়িয়া পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় রাতভর তল্লাসি চালান তদন্তকারীরা। ভোরের দিকে নিউ গড়িয়া স্টেশনের সামনে সন্দীপের খোঁজ মেলে।


টাকার জন্য নাটক?


আরও পড়ুন- রসগোল্লা বাংলারই, ওড়িশাকে হারিয়ে সত্ত্ব পেল পশ্চিমবঙ্গ


দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতেই জানা যায় টাকার জন্যই অপহরণের নাটক ফেঁদেছে সন্দীপ। রেল অফিসারের একমাত্র ছেলে সন্দীপ বিলাসবহুলে জাবনে অভ্যস্ত। ব্রান্ডেড জামাকাপড়, অন লাইন শপিং বরাবর পছন্দের কেনাকাটার নেশায় বাজারে প্রচুর ধার ছিল সন্দীপের। মায়ের সোনার গয়নাও বন্দক  রাখে সে।


আরও পড়ুন- বিক্ষোভ-ভাঙচুরে উত্তাল গড়িয়ার নেতাজি সুভাষ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ


সম্প্রতি বাইক কেনার পরিকল্পনা করে সন্দীপ তার জন্য দরকার ছিল মোটা টাকার।  জুলফিকার ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে পুলিস।