ওয়েব ডেস্ক: গতবারের তুলনায় এবার বিধানসভা ভোটে রাজ্যে বিজেপির আসন সংখ্যা বেড়েছে। সেকারণেই আগামী দিনে আরও ভাল ফল করার লক্ষে সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। অথচ দলের অন্দরেই এখন জোর বিতর্ক। পুরনোদের সরিয়ে নতুন মুখদের গুরুত্ব বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। যদিও সেই বিতর্কে আমল দিতে রাজি নয় রাজ্য সভাপতি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শমীক ভট্টাচার্য, রীতেশ তিওয়ারি কিম্বা অশোক সরকার। একসময় রাজ্য বিজেপি বলতে এঁদের নামই উঠে আসত। কিন্তু আজ নিজের দলেই যেন ওঁরা ব্রাত্য। যাঁরা প্রায় এক দশক ধরে বিজেপির হয়ে লড়াই করেছেন, নতুনদের ভিড়ে তাঁরা যেন ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছেন। পরিবর্তে সামনের সারিতে দেখা যাচ্ছে রূপা গাঙ্গুলী, লকেট চ্যাটার্জি, জয়প্রকাশ মজুমদারের মত ব্যক্তিত্বদের, যাঁরা অন্যদল থেকে এসেছেন গেরুয়া শিবিরে।


বসিরহাটে পুলিশের হাতে ধরা পড়ল 'জঙ্গিদের লিঙ্কম্যান'


আর এতেই পদ্ম শিবিরের অন্দরে ক্ষোভ। পুরনোপন্থীদের প্রশ্ন, দলে অপেক্ষাকৃত যাঁরা নবীন, তাঁরা কি আদৌ বিজেপির ভাবাদর্শ এবং মতাদর্শের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে পেরেছেন? ঠিক এই কারণেই দলেন বিরাগভাজন হয়ে, পদ ছেড়েছেন রাজ্য বিজেপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক কৃষাণু মিত্র। আর রীতেশ তিওয়ারি এবং শমীক ভট্টাচার্যের মতন নেতাঁরাও প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছেন।


একদা বামপন্থী মনভাবাপন্ন রূপা গাঙ্গুলী এখন বিজেপির অন্যতম মুখ। তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন লকেট। জয়প্রকাশ মজুমদার এসেছেন কংগ্রেস থেকে। রূপা গাঙ্গুলীর সঙ্গে প্রায় সব জায়গায় দেখা যাচ্ছে এই দুজনকে। তবে কি রাজ্য বিজেপিতে এখন গুরুত্ব হারাচ্ছে সংঘ পরিবার? দল থেকে কি ক্রমশ শৃঙ্খলা হারিয়ে যেতে বসেছে? প্রশ্ন পুরনোপন্থীদের।


গড়বেতায় তৃণমূলের চরম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব


রাজ্য বিজেপিতে এখন চরম গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। তার ওপর দেখা দিয়েছে মতাদর্শের লড়াই। সংঘ পরিবারই দলের প্রধান চালিকা শক্তি। এতদিন যাঁরা একথা মানতেন, আজ তাঁরাই হতাশ। কারণ তাঁরা চোখের সামনে দেখছেন, অন্য দল থেকে যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, প্রাধান্য পাচ্ছেন তাঁরাই। তাহলে কোন পথে বিজেপি?