নিজস্ব প্রতিবেদন:  শহরে পরপর ঘটে যাওয়া ATM জালিয়াতিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মাত্র ৪ জন নয়, এই ATM কাণ্ডে যুক্ত আরও বেশ কিছুজন। গোটা দেশ জুড়েই  ATM  থেকে টাকা লুঠ করার পরিকল্পনা করে তারা। কলকাতার ATM হানা দেওয়ার পর, পশ্চিমবঙ্গের গ্রামের ATM গুলিতেও  হানা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল প্রতারকদের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সেই উদ্দেশ্যে, ৬ জুন বিমানে করে কলকাতা আসে মহম্মদ নাসিম। সঙ্গে ছিল মহম্মদ উকিল, সোনু গুপ্তা, অমৃত গুপ্তা । কিন্ত সোমবার বিধাননগর পুলিসের হাতে ধরা পড়ে যায় এই তিনজন।  তারপরই মঙ্গলবার রাতে দিল্লি পালানোর চেষ্টা করে বলে সুত্রের খবর।


কলকাতাতে হানা দেওয়ার আগে ৫ থেকে ৬ মাস বিভিন্ন জায়গার ATM ঘুরে দেখে গিয়েছেন তারা। সেসময় ভুয়ো নামে হোটেল, গেষ্ট হাউস ভাড়া করতেন তারা। 


কলকাতা থেকে ধৃত সইফুলই করে দিত সমস্ত থাকার বন্দোবস্ত। যাতে ভুয়ো ডকুমন্ট ধরা না পড়ে, তাই বেশির ভাগ সময়ই গেষ্ট হাউস বা কারও বাড়িতে থাকত তারা।


ধৃতদের কথায়, দলের মধ্যে এক্সপার্ট  তিনজন- মনোজ গুপ্তা, মহম্মদ উকিল, অমৃত গুপ্তা। তারাই মূলত এটিএমে ব্ল্যাকবক্স বসিয়ে টাকা বের করে নিত।  বাকিরা রেইকি করা, টাকা ট্রান্সফার, টাকা ডলারে কনভার্ট করার মতো কাজে যুক্ত ছিল।


আগে দিল্লিতে টাকা লুঠ করে। তারপর কলকাতায় দলের কয়েকজন অপারেশন চালায় ১২মে  থেকে ২২মে। কলকাতা থেকে গিয়ে জলন্ধর, বেঙ্গালুরুতেও একই অপারেশন চালায়। সেখানে ধরা পড়েছে দলের বেশ কয়েকজন। তারপর আবার কলকাতা ফিরেছিল নাসিমদের দল। কিন্তু 'সেকেন্ড টাইম অ্যাটাক’ করার আগে পুলিসের জালে ধরা পড়ে যায় তারা। 


প্রসঙ্গত, ৬ জুন শহরে পরপর ঘটে যাওয়া ATM জালিয়াতি কাণ্ডে ধৃত ৪ জনকে গ্রেফতার করে লালাবাজার গোয়েন্দা বিভাগ।কলকাতা থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে দু-জনকে। বাকি দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে সুরাট থেকে।পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে ধৃত বিশ্বদ্বীপ রাউত ও আব্দুল সইফুল মন্ডল। সুরাট থেকে ধৃত গ্রেফতার মনোজ গুপ্তা (৪০) ও নবীন গুপ্তা (৩০)।  ATM থেকে টাকা লুঠ করে, মনোজ গুপ্তা আগেও কলকাতা পুলিসের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। সেবারও স্কিমার বসিয়ে কারচুপি করেছিলেন তিনি।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)