নিজস্ব প্রতিবেদন: ইসলামপুরের ঘটনায় শনিবার গোটা বাংলায় ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিল ভারতের ছাত্র ফেডারেশন। সংগঠনের তরফে রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে সাফ জানিয়ে দিলেন, “ইসলামপুরের ঘটনার জন্য দায়ী রাজ্য সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপদার্থতার কারণেই বারে বারে এই ঘটনা ঘটছে। ভয়ানক নিন্দনীয় এই ঘটনার (ইসলামপুর) প্রতিবাদে আমরা আগামিকাল সর্বাত্মক ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি।” একই সঙ্গে এই ঘটনার দায় স্বীকার করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও তুলেছে এসএফআই। প্রসঙ্গত বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই-এর ডাকা এই ছাত্র ধর্মঘটকে ইতিমধ্যেই সমর্থন করেছে আরও বাম ও প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলো।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


উল্লেখ্য, অতীতেও এই রাজ্য রিয়াজুল মোল্লা, সুদীপ্ত গুপ্ত, রেজিনা খাতুনের মতো একাধিক ছাত্র খুনের ঘটনার সাক্ষী থেকেছে এই রাজ্য। এবার সেই মিছিলে যুক্ত হল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দাঁড়িভিট হাইস্কুলের দুই প্রাক্তনী রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মনের নামও। প্রসঙ্গত, এই দুই পড়ুয়াই দাঁড়িভিট স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। গতকাল (বৃহস্পতিবার) আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর লাঠি চালায় পুলিস। ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসও ছোড়া হয়া। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে গুলিও চালায় তাঁরা। সেই গুলিতেই মৃত্যু হয় দুই পড়ুয়ার। এরপরই রণক্ষেত্রের আকার নেয় ইসলামপুর। বচসা থেকে হাতাহাতি, ছোঁড়া হয় ইট-পাটকেল। এতে আহত হয়েছেন অনেক পড়ুয়াও। আঘাত পেয়েছেন এক মহিলা পুলিসকর্মীও। মাথায় আঘাত পেয়েছেন একজন পুলিসকর্মী।



(মৃত ছাত্র তাপস বর্মন)


আরও পড়ুন- ‘মুখে কালো কাপড় বেঁধে গুলি চালিয়েছে পুলিস’, বুক চাপড়ে কেবল বুলি আউড়ে চলেছেন তাপসের মা


ইসলামপুরের এই ঘটনায় সরকারকেই দুষছে বিরোধীরা। যদিও সরকারের তরফে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় পাল্টা দোষারোপ করেছেন আরএসএস-কে। সেই অভিযোগ অস্বীকার করে ইসলামপুরের ঘটনায় সরকারের ভূমিকাকেই পাল্টা কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এমনকি ইসলামপুরের ঘটনায় সিবিআই তদন্তও দাবি করেছে তাঁরা।


আরও পড়ুন- ছাত্র আন্দোলনে পুলিসের গুলি, মৃত্যু প্রাক্তন ছাত্রের, অগ্নিগর্ভ ইসলামপুর


এ দিকে এসএফআইয়ের তরফে শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারি দুর্নীতির অভিযোগও তোলা হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, কলেজ ভর্তি থেকে স্কুলে স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ, সর্বক্ষেত্রেই গলা পর্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্ত এই সরকার। এবং এর প্রতিবাদ জানাতে গিয়েই বিরোধী-সহ আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর আঘাত নামিয়ে আনা হচ্ছে বলেও অভিযোগ।