পিয়ালি মিত্র: কিডনি অসুখ রয়েছে। চিকিত্সা প্রয়োজন। এই আর্জি জানিয়ে তাঁর মক্কেলের জন্য জামিনের দরবার করেছিলেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আইনজীবী। কিন্তু ধোপে টেকেনি আর্জি। খারিজ হয়ে যায় আবেদন। জামিন মিলল না শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। অন্যদিকে, তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আর্জি জানায় ইডি। জেলে গিয়ে জেরার আর্জি জানায় ইডি। বিচারক ৫ এপ্রিল পর্যন্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিনই সওয়াল জবাবের সময় শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের জামিনের বিরোধিতা করে ইডির আইনজীবী বলেন, 'একটা সোনার খনি ছিল, এটা আগের দিন বলেছিলাম । অয়ন শীল সেই সোনার খনি। অয়ন শীলের গ্রেফতারি এই মামলার তদন্তের গতিপ্রকৃতি বদল করে দিয়েছে। শিক্ষক ছাড়া পুরসভার চাকরিতেও দুর্নীতি হয়েছে। মজদুর থেকে সুইপার সবক্ষেত্রে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে। আমরা সোনার খনির কথা বলেছিলাম। আমরা সেখানে প্রবেশ করেছি। আর দেখছি সেটা অসীম এবং অনন্ত। যে তথ্য পাচ্ছি, তাতে আরও কয়েকজন প্রভাবশালীর নাম আসছে। প্রকাশ্য আদালতে বলছি না। কিন্তু কেস ডায়েরিতে আছে।'


ইডির আইনজীবী আরও বলেন, 'দুর্নীতির মোডাস সম্পর্কে আমরা জানতে পেরেছি যে পার্থ চট্টাপাধ্যায় দুর্নীতির পথ দেখিয়েছেন। তিনি এই বিষয়ে শিক্ষক ছিলেন। আর এরা সেই পথ ফলো করেছেন। শান্তনু ছিলেন ছাত্র। ভুয়ো কোম্পানি তৈরি করে টাকা রোল করেছেন। সাদা টাকা কালো করেছেন। ১৩টি সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে শান্তনুর নামে। এছাড়া আরও ৫টি বেনামে সম্পত্তি কেনা হয়েছে। ভুয়ো কোম্পানি খুলে ডামি লোকেদের ডিরেক্টর করা হয়েছে। মাত্র ৬ লাখ টাকা বার্ষিক আয়, কিন্তু সম্পত্তি কোটি কোটি টাকার।' 


যদিও ইডি সূত্রের খবর, জেরায় শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায় দাবি করেছেন যে তিনি তাপস মণ্ডলকে চেনেন না। কিন্তু তাপস মণ্ডল এর আগে ইডির জেরায় দাবি করেছিলেন যে শান্তনুর কথাতেই কুন্তলকে ১৯ কোটি টাকা দিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় আরও স্বীকার করেছেন যে এসবের পিছনে তাঁর স্ত্রীর কোনও ভূমিকা নেই। তিনি-ই সব কিছু করেছেন।


আরও পড়ুন, সুজনবাবুর স্ত্রীর চাকরি কীভাবে? মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে তদন্ত করব : ব্রাত্য



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)