`ব্যারিকেড ভাঙার পর গাড়ির গতি বাড়াতে বলে শানু`, সাম্বিয়া সোহরাব
রেডরোড হিট অ্যান্ড রান মামলার জট ছাড়াতে সাম্বিয়া সোহরাবকে লাগাতার জেরা করছে পুলিস। পুলিস নিশ্চিত, বুধবার ভোরে সাম্বিয়ার সঙ্গে অডি গাড়িতে ছিল শানু ও জনি। জেরায় সাম্বিয়ার দাবি, সেদিন রেডরোডে প্রথম ব্যারিকেড ভাঙার পরই শানু সাম্বিয়াকে গাড়ির গতি বাড়াতে বলে।
ওয়েব ডেস্ক: রেডরোড হিট অ্যান্ড রান মামলার জট ছাড়াতে সাম্বিয়া সোহরাবকে লাগাতার জেরা করছে পুলিস। পুলিস নিশ্চিত, বুধবার ভোরে সাম্বিয়ার সঙ্গে অডি গাড়িতে ছিল শানু ও জনি। জেরায় সাম্বিয়ার দাবি, সেদিন রেডরোডে প্রথম ব্যারিকেড ভাঙার পরই শানু সাম্বিয়াকে গাড়ির গতি বাড়াতে বলে। শানু বলে...""গাড়ি ভাগা..যো হোগা দেখা যায়েগা।'' এরপরই অডির গতি আরও বাড়িয়ে দেয় সাম্বিয়া। তারপরই ফোর্ট উইলিয়ামের ইস্টগেটের কাছে ইউটার্ন নিয়ে পালানোর সময় পিষে দেয় বায়ুসেনার এয়ারম্যান অভিমণ্যু গৌড়কে।
সাম্বিয়ার পর এবার পুলিসের জালে শানু। ওল্ড দিল্লি থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিসের গুন্ডাদমন শাখা। ফোনের সূত্র ধরেই শানুকে ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিস। গতকাল সকাল ১১.৪৯ মিনিটে নিজের এক দূর সম্পর্কের দাদাকে ফোন করে শানু। বলে, তার পকেটে মাত্র ৩৫০ টাকা পড়ে রয়েছে। দিল্লিতে থাকার বন্দোবস্ত করে দিতে হবে। ওই আত্মীয় ওল্ড দিল্লির আজমেরিগেট এলাকায় তাঁর এক বন্ধুর বাড়িতে শানুর থাকার বন্দোবস্ত করে দেন। পরে বউবাজার থানায় গোটা বিষয়টি জানিয়ে একটি জেনারেল ডায়েরি করেন তিনি। ওইদিন দফায় দফায় শানুর সঙ্গে ওই দূরসম্পর্কের আত্মীয়ের যোগাযোগ হয়। এরপর বিকেল ৫.০০টার পরে খালেদকে সঙ্গে নিয়ে বিমানে দিল্লি রওনা হয় কলকাতা পুলিসের গুন্ডাদমন শাখার বিশেষ একটি দল। রাত ২.৩০ থেকে ৩.০০-র মধ্যে গ্রেফতার হয় শানু। কার্যত পরিবারের সাহায্য নিয়েই তাকে ধরে পুলিস। তিসহাজারি আদালতে পেশের পর ট্রানজিট রিমান্ডে তাকে আনা হবে কলকাতায়। শানুর দাবি, ঘটনার দিন একইসঙ্গে সে, জনি ও সাম্বিয়া কলকাতা ছাড়ে। কোলাঘাট থেকে পৌঁছায় রাঁচিতে। শুক্রবার দুপুরেই সাম্বিয়া রাঁচি ছাড়ে। শনিবার রাতে গ্রেফতার হয় সাম্বিয়া। প্রশ্ন উঠছে, কলকাতায় পৌঁছে এতটা সময় কোথায় ছিল সাম্বিয়া? তবে কি আত্মসমর্পণই করেছে সোহরাব-পুত্র? জোরালো হচ্ছে সেই সম্ভাবনাই।