নিজস্ব প্রতিবেদন: ভবানীপুর কেন্দ্রের বিধায়কের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বুধবার দুপুরে বিধানসভায় গিয়ে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ইস্তফা জমা দেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিজের পুরোনো কেন্দ্র ভবানীপুর থেকেই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়বেন, বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন শোভনদেব চট্টোরপাধ্যায়ই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতিদের মধ্যে মতবিরোধ, এবার বৃহত্তর বেঞ্চে Narada মামলা


তিনি জানান, বাংলার মানুষ মমতাকে চায়। তাই ভবানীপুর আসনটি ছেড়ে দিলাম। দলের সঙ্গেও এই বিষয়ে কথা বলেছি। তৃণমূল সূত্রে খবর, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে দলের তরফে রাজ্যসভায় পাঠানো হবে। না হলে খড়দহ কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে লড়তে পারেন তিনি। কারণ কাজল সিনহার মৃত্যুর পর খড়দহ আসনেও উপনির্বাচন হবে। ২০১১ সাল থেকে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকেই বিধানসভা নির্বাচন লড়ছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর থেকে লড়েননি তিনি। রাসবিহারী কেন্দ্র থেকে সরিয়ে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে ভবানীপুর কেন্দ্রের প্রার্থী করেন। নিজে নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়েন। নেত্রীর ভরসা আটুট রাখেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ভবানীপুরে জয়ী হন তিনি। অন্যদিকে, নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছ'মাসের মধ্যে কোনও একটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে আসতেই হোত। সেক্ষেত্রে ভবানীপুর থেকেই ভোটে লড়বেন তিনি। 


আরও পড়ুন: Narada Case: চার হেভিওয়েটের জামিন ঘিরে জটিলতা, বিচারপতিদের মধ্যে মতবিরোধ


অন্যদিকে, দলের তরফে রাজ্যসভায় পাঠানো হতে পারে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে। প্রসঙ্গত, দীনেশ ত্রিবেদী ইস্তফা দেওয়ায় এবং মানস ভুঁইয়া ও বিবেক গুপ্ত বিধায়ক হয়ে যাওয়ায়, বর্তমানে রাজ্যসভায় তৃণমূলের ৩টি আসল খালি রয়েছে। ফলে সেই আসনগুলোর কোন একটিতে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে পাঠাতে পারে তৃণমূল।