নিজস্ব প্রতিবেদন : খাস কলকাতায় ফের শুটআউট। এবার কড়েয়া লোহাপুলে গুলিতে খুন হল এক যুবক। এই ঘটনায় চরম আতঙ্কিত এলাকাবাসী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রথমে বচসা। তারপর সেই বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। ব্লেডের ঘায়ে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় এক ব্য়ক্তি। সেই হামলার বদলা নিতে চড়াও হয় আহত ব্যক্তির ভাগ্নে। অভিযুক্ত যুবককে ধাওয়া করে গুলি করে সে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গুলিবিদ্ধ যুবকের। শনিবার ভরসন্ধেয় কড়েয়া লোহাপুলে ঘটল এমনই এক ভয়ঙ্কর ঘটনা।  


ঘটনার সূত্রপাত রাত ৯টা নাগাদ। কড়েয়া থানার লোহাপুলে স্থানীয় বাসিন্দা সেখ ময়না নামে একজনের সঙ্গে কয়েকজন মহিলার বচসা চলছিল। সে সময় সাকিল বলে এক ব্যক্তি এসে ময়নার সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়ায়। বচসা চলাকালীন সাকিলকে ব্লেড দিয়ে আঘাত করে ময়না।


তারপরই বদলা নিতে এলাকায় হাজির হয়  সাকিলের ভাগ্নে নওশাদ। বন্দুক নিয়ে সে ধাওয়া করে ময়নাকে। একটা সময় ছুটতে থাকা ময়নাকে গুলি করে নওশাদ। গুলি করেই পালিয়ে যায় সে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে পেশায় রংমিস্ত্রি ময়নাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।


আরও পড়ুন, ডানলপ মোড়ে বন্ধ থাকবে বিটি রোডে একাংশ, দু-সপ্তাহ প্রবল যানজটের আশঙ্কা


অন্যদিকে, হাসপাতলে চিকিত্সাধীন রয়েছে সাকিল। সাকিলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গুলি চলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত নওশাদের খোঁজ পেতে চাইছে পুলিস। গুলি চলার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌছঁয় বালিগঞ্জ জিআরপি। পরে কড়েয়া থানা থেকে বিশাল পুলিসবাহিনী এলাকায় পৌঁছয়।


প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস মনে করছে, সাকিল ও ময়নার আগে থেকেই শত্রুতা ছিল। আর তার জেরেই এই হামলা। হামলায় জখম সাকিল পেশায় রিকশাচালক। এলাকায় বিভিন্ন সমাজবিরোধী কাজের সঙ্গেও নাকি যুক্ত ছিল সে। আর তাই আগে থেকেই পুলিশের খাতায় নাম রয়েছে সাকিলের। মূল অভিযুক্ত নওশাদও রিকশাচালক।


স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস জানতে পেরেছে, সম্প্রতি বন্ডেলগেট এলাকায় পাঞ্জাবি পাড়ায় একটি নির্মাণকাজের সঙ্গে  সাকিল ও ময়না দুজনেই যুক্ত ছিল। সেখানে টাকা-পয়সার ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে দুজনের মধ্যে কোনও বিবাদ চলছিল কি না, তদন্তে নেমে সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিস।