নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রেসিডেন্সি নিয়ে আজ আসরে নামছে এবিভিপি। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিল করে যাবে সংঘ পরিবারের ছাত্র সংগঠন। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবার রাতে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামফলকে কালি লেপে দেওয়া হয়। বিষয়টি চোখে পড়তেই উত্তেজনা তৈরি হয়। এমন কাজ যে কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না, সে কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্সির উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কড়া ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এই কালি লেপনের পিছনে কে? আপাতত কাউকেই সন্দেহের ঊর্ধ্বে রাখা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্সির রেজিস্ট্রার দেবাশিস কোনার।


কিন্তু এর পিছনে কি অতি বামপন্থীরা? প্রেসিডেন্সির অলিন্দে শোনা যাচ্ছে এরকমই কানাঘুষো। প্রেসিডেন্সিতে বর্তমানে মূলত এসএফআই ও আইসি-র ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু যে বা যারাই এই কাজ করে থাকুক না কেন, মনে করা হচ্ছে শুধুমাত্র নজরে আসার চেষ্টা থেকেই এমনটা করা হয়েছে। ঘটনার নিন্দা করেছে অতিবামপন্থী সংগঠন আইসা। পাশাপাশি, এ ধরনের কাজকে কোনওভাবেই সমর্থন করা যায় না, বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক কঙ্কনা মুখার্জি।


উল্লেখ্য, ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জেতার পর সে রাজ্যে লেনিন মূর্তি ভাঙা হয়। নিন্দা ও বিতর্কের ঝড় ওঠে দেশ জুড়ে। এরপরই দেশের বিভিন্ন এলাকায় মূর্কি ভাঙার ঝোঁক বাড়তে থাকে। কলকাতায় ক্যাওরাতলা শ্মশানে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তির কিছু অংশ ভাঙা হয় ও কালি লেপে দেওয়া হয়। তারপর আবার সেই মূর্তি বিশুদ্ধতা রক্ষা করতে রাজ্য বিজেপির তরফে দুগ্ধাভিষেকের আয়োজন করা হয়।