কলকাতা: সারদার সব আমানতকারীর টাকা ফেরত দেওয়ার আগেই বন্ধ  হয়ে গেল সেন কমিশন। এ জন্য, সরকারের দিকেই আঙুল তুললেন কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শ্যামল সেন। রাজ্যকে দেওয়া রিপোর্টে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, সরকার আদালতে গিয়ে ইডি-র বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তি
নিজের হেফাজতে নিতে পারত। সেই সম্পত্তি বিক্রি করেই আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া যেত। কেন শ্যামল সেন কমিশন তৈরি করেছিল রাজ্য সরকার? লক্ষ্য ছিল তিনটি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সারদার আমানতকারীদের ক্ষতিপূরণ দেবে কমিশন। কমিশন সারদা-কাণ্ডে দোষীদের চিহ্নিত করবে। সারদার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে বিক্রির ব্যবস্থাও করবে সেন কমিশন।


গত দেড় বছরে কী করেছে সেন কমিশন?


ক্ষতিপূরণ চেয়ে জমা পড়ে প্রায় আঠারো লক্ষ আবেদন।
 
পাঁচ লক্ষ আমানতকারীকে টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।


গত দেড় বছরে কমিশনকে দুশো ছিয়াশি কোটি পঞ্চাশ লক্ষ টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার।


ক্ষতিপূরণ দিতে কমিশনের খরচ হয়েছে ২৫১ কোটি ২২ লক্ষ টাকা।  


অর্থ দফতর টাকা না দেওয়ায় সেন কমিশন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর। সরকারকে চারশো পাতার একটি রিপোর্ট দিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শ্যামল সেন। রিপোর্টে তিনি বলেছেন ''কমিশনের হাতে অর্থলগ্নি সংস্থাগুলির কয়েকটি সম্পত্তি রয়েছে। ইডি যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে, রাজ্য আদালতে গিয়ে তা নিজেদের হেফাজতে নিতে পারে। সেই সম্পত্তি বিক্রি করেই টাকা ফেরানো সম্ভব।''


বিচারপতি শ্যামল সেনের বক্তব্য অনুযায়ী, কোষাগার থেকে অতিরিক্ত টাকা খরচ না করেই আরও অনেক প্রতারিতদের টাকা মেটাতে পারত সরকার।


কমিশন বন্ধ করে দেওয়া নিয়েও শ্যামল সেনের রিপোর্টে রয়েছে আক্ষেপের সুর। তিনি বলেছেন, ''রাজ্যের উচিত ছিল আগেই আদালতে যাওয়া। তা হলে মাঝপথে কমিশন গোটাতে হতো না। আশা ছিল, ক্ষতিপূরণের জন্য সরকারের কাছ থেকে আরও অর্থ পাওয়া যাবে।''
শ্যামল সেন কমিশন আচমকা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অথৈ জলে চিটফান্ডের প্রতারিত আমানতকারীরা। তাঁদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়া সরকারের দায়িত্ব বলে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শ্যামল সেন তাঁর রিপোর্টে জানিয়েছেন।