নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতায় একটি কলেজের হয়ে অনুষ্ঠান করতে এসে বিপত্তি। অনুষ্ঠান শেষে অসুস্থ হয়ে প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী কেকে'র (KK) মৃত্যু। যাকে কেন্দ্র করে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। সরাসরি উদ্য়োক্তা অর্থাৎ কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তোপ দাগল বাম-বিজেপি। পাল্টা উত্তর দিল তৃণমূল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেকে'র (KK) হঠাৎ মৃত্যুর জন্য সরাসরি গুরুদাস কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেন এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস (Mayukh Biswas)। টুইটারে তিনি লেখেন, "গতকাল নজরুল মঞ্চের অনুষ্ঠান এবং সেখানে কেকে'র করুণ পরিণতির জন্য, গুরুদাস কলেজের ছাত্র ইউনিয়ন দায়ী। টিকিটের কালোবাজারি হয়েছে, এসি বন্ধ করে অডিটোরিয়ামে ফায়ার এক্সটিংগুইজার স্প্রে করা হয়েছে। এগুলো অপরাধমূলক কার্যকলাপ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঢাকা দেওয়ার কৌশল বারাবার কাজ করবে না।" 



একই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারিও (Tarunjyoti Tewari)। তিনি বলেন, "২২০০ জন ধরতে পারে এমন একটা হলে সাত হাজার লোক কীভাবে এল? হঠাৎ কী হল যে, ফায়ার এক্সটিংগুইজার স্প্রে করতে হল। বদ্ধ হল, অ্যাম্বুলেন্স ছিল না, তার মধ্য়ে হলে কার্বন-ডাই অক্সাইড স্প্রে করা হয়েছিল। ওঁর থেকে অনেক কিছু পাওয়ার ছিল। আমরা হারিয়ে ফেললাম। আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। ভিড় নিয়ন্ত্রণের কোনও চেষ্টা করা হয়নি।"


কলেজের বিরুদ্ধে বিরোধীরা অভিযোগের আঙুল তুললেও মানতে নারাজ তৃণমূল। দেবাংশু ভট্টাচার্যের (Debangshu Bhattacharya) পাল্টা দাবি, "এই অনুষ্ঠানগুলো মূলত একটা এভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থা আয়োজন করে। তারাই শিল্পীদের আনে। ছাত্র সাংসদ কেবলমাত্র নির্দিষ্ট আসন সংখ্যার ভিত্তিতে টিকিট ছাপিয়ে বিলি করেছিল। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের দায়টা ছাত্র সাংসদের ঘারে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা কোথাও গিয়ে ভুল হচ্ছে।" 


কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, "এত জনের মধ্যে কেউ অসুস্থ হলেন না। পেশাদার শিল্পী পারফর্ম করে বেরিয়ে যাওয়ার পর অসুস্থ হয়েছেন। এটা নিয়ে কিছু রাজনৈতিক দল কুৎসা করছে। এটা ওদের রাজনৈতিক দেউলিয়া হওয়ার উদাহরণ। মুখ্যমন্ত্রী পূর্ণ সম্মান দিয়ে শেষ বিদায়ের ব্যবস্থা করেছেন।"


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)