নিজস্ব প্রতিবেদন: সিঁথি থানার ভিতর পুলিসের চড়, লাথিতে প্রৌঢ়ার মৃত্যুর অভিযোগ। আর তা ঘিরেই সিঁথি থানার সামনে তুমুল বিক্ষোভ। ঘটনায় রঙ লেগেছে রাজনীতিরও। অন্যদিকে পুলিসের বক্তব্য অনুযায়ী, ৫৩ বছরের রাজকুমার সাউকে রুটিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সকাল ১১টায় সিঁথি থানায় ডেকে পাঠানো হয়। তাঁদের দাবি, আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। হৃদরোগ ছিল। ছাঁট লোহার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সন্ধে ৬টা নাগাদ পুলিসই তাকে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হলেও শেষরক্ষা হয়নি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মৃতর পরিবার জানিয়েছেন, সন্ধে ছটা নাগাদ সিঁথি থানা থেকে ফোন করে মৃত্যু সংবাদ দেওয়া হয়। অন্যদিকে পুলিসের সাফাই উড়িয়ে তাঁদের দাবি, সুস্থই ছিলেন রাজকুমার। এমনকী হৃদরোগের কথাও জানা ছিল না কারও। তাঁদের অভিযোগ, পুলিসের অত্যাচারেই মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, "এদিন থানায় আটকে রাজকুমারকে বিদ্যুতের শক দেওয়া হয়েছে, এরপর সাড়ে ৫ টা নাগাদ থানার লকআপেই মারা যান তিনি। গোপনে তাxর দেহ সরিয়ে ফেলার চেষ্টাও করা হয়েছে।"


ঘটনায়, অরিন্দম দাস, সৌমেন্দ্র নাথ দাস ও চিন্ময় মোহান্তি নামে ৩ পুলিশ কর্মীর বিরূদ্ধে সিঁথি থানাতেই অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। পরিবার সূত্রে একটি ভিডিয়োও মিলিছে তাতে পরিবারের দাবি, থানা থেকে মৃত অবস্থাতেই গাড়িতে তোলা হয়েছে রাজকুমারকে। সবমিলিয়ে পুলিস ও পরিবারের ভিন্ন দাবীতে এখনও উত্তপ্ত এলাকার। যদিও মৃতদেহের ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই জানা যাবে ঠিক কীভাবে মৃত্যু হয়েছে রাজকুমারের। 


চোরাই মাল কেনার অভিযোগে সোমবার সকাল এগারোটা নাগাদ রাজকুমার সাউকে ডেকে পাঠায় সিঁথি থানার পুলিস। অভিযোগ, জিজ্ঞাসাবাদের নামে থানায় বেধড়ক পেটানো হয় রাজকুমারকে। ছাঁট মালের ব্যবসা করেন রাজকুমার সাউ। একজন কাগজকুড়ানির থেকে চোরাই মাল কেনার অভিযোগে তাঁকে থানায় ডাকে পুলিস। রাজকুমারের সঙ্গে কাগজকুড়ানিকেও বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। কাগজকুড়ানির দাবি, তাঁর সামনেই পুলিসের মারে মৃত্যু হয় রাজকুমার সাউয়ের।