নিজস্ব প্রতিবেদন : রবিনসন কাণ্ডের ছায়া এবার বউবাজারে। ৭ দিন ধরে ঘরের মধ্যে মায়ের পচাগলা দেহ আগলে বসে রইল ছেলে। শেষপর্যন্ত প্রতিবেশীরা পচা গন্ধ পেয়ে খবর দেন পুলিসে। পুলিস গিয়ে পচন ধরে যাওয়া মৃতদেহ উদ্ধার করে। ছেলে পাপাই দাসকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ছেলে পাপাই দাস নিয়মিত নেশা করত। নেশার টাকা না পেলেই মা তপতী দাসকে মারধর করত। এমনকি বাবাকেও মারধর করত পাপাই। পাড়ায় সেভাবে কারোর সঙ্গেই সে মেলামেশা করত না। গত শনিবার বৃদ্ধাকে শেষবারের জন্য বাইরে দেখতে পাওয়া যায়। তারপর থেকে তপতী দাসকে আর পাড়ায় দেখা যায়নি।


আরও পড়ুন, দুই সন্তান ও স্ত্রীকে 'খুন' করে ভিন রাজ্যে 'আত্মঘাতী' হাওড়ার যুবক!


এতেই সন্দেহ হয় পাড়া-প্রতিবেশীদের। তপতী দাসের খোঁজে এরমধ্যে একদিন তাঁর বাড়িতে যান প্রতিবেশীরা। কিন্তু পাপাই তাঁদের বাড়িতে ঢুকতে দেয় না বলে অভিযোগ। উল্টে প্রতিবেশীদের উপর চড়াও হয় সে। এক প্রতিবেশীর গলাও টিপে ধরে। বাধ্য হয়ে সেখান থেকে চলে আসেন তাঁরা।


এরপরই এদিন বাড়ি থেকে বৃদ্ধা তপতী দাসের প্রায় নগ্ন দেহ উদ্ধার করে পুলিস। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, পাড়ায় একটা পচা বাজে গন্ধ পেয়েই পুলিশে খবর দেন তাঁরা। সেইসঙ্গে অনেকদিন ধরেই তপতী দাসকে দেখতে না পাওয়ায়, তাঁদের মনে সন্দেহ দানা বেঁধেছিল।


আরও পড়ুন, বিয়েবাড়িতে বউয়ের নাচ! বাড়ি ফিরে 'খুন' গৃহবধূকে


মুচিপাড়ার থানায় খবর দেওয়া হলে, পুলিস এসে দরজা ভেঙে মৃতদেহ উদ্ধার করে। দেখা যায়, ঘরের মধ্যে উল্টো হয়ে পড়ে রয়েছে তপতী দাসের প্রায় নগ্ন দেহ। দেহে পচন ধরে গেছে। আর তার পাশেই বসে রয়েছে ছেলে পাপাই। পাড়া প্রতিবেশীরা পাপাইকে পাউরুটি-জল খেতে দিলে, মায়ের দেহের পাশে বসেই তা খায় সে।


আরও পড়ুন, এক যুবতির প্রেমে 'পাগল' ২ যুবক! এক প্রেমিক গুলি করল অপর প্রেমিককে


এখন প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে মৃত্যু হল তপতী দাসের? ছেলে পাপাই-ই কি খুন করেছে মাকে? নাকি অসুস্থতার কারণে বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে? তপতী দাসের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে পাপাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস।