নিজস্ব প্রতিবেদন: শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তবে তাঁর সঙ্গে আলোচনার পথ এখনও খোলা আছে বলে মনে করেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর যুক্তি, দলের প্রাথমিক সদস্যপদ ছাড়েননি শুভেন্দু। সুব্রত বক্সির প্রতিক্রিয়া, যতক্ষণ না দল ছাড়ছেন ততক্ষণ শুভেন্দু দলের সদস্য।      


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গতকাল, শুক্রবার মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করলেও তিনটি দফতর নিজের হাতেই রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহলের একটা অংশ মনে করছে, দফতরগুলি বণ্টন না করে কথাবার্তার পথ খোলা রেখেছেন নেত্রী। আর একটা অংশের অভিমত, সামনেই নির্বাচন। আর ক'টা মাসের জন্য আর আলাদা করে কাউকে দায়িত্ব দিতে চাননি। তবে তৃণমূলের প্রবীণ নেতৃত্ব এখনও শুভেন্দুকে নিয়ে সংযত।


শুভেন্দুর মানভঞ্জনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সাংসদ সৌগত রায়কে। দু'দফায় বৈঠক করেছিলেন। সৌগত এ দিন বলেন,''শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন। আমরা দুঃখিত। উনি বিধায়ক বা দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে এখনও পদত্যাগ করেননি। যতক্ষণ পার্টিতে আছেন, ততক্ষণ ওঁর সঙ্গে কথা বলা যেতে পারে। বিজেপির মুখ নেই। প্রচার বোঝেন। আগে ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানের টিম তৈরি হত, এ দল থেকে ও দল থেকে টেনে। তৃণমূলে কেউ বিক্ষোভ দেখালেই ওরা স্বাগত জানায়। একটা পার্টির লজ্জা থাকা উচিত।''একইসুরে তৃণমূলের সুব্রত বক্সি বলেন,''শুভেন্দু অধিকারী যতক্ষণ না দল ছেড়ে যাচ্ছেন ততক্ষণ তিনি দলের সদস্য।''


শুভেন্দুকে নিয়ে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে এক পংক্তিতে দিলীপ ঘোষ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন,''আমার যত দূর জানা আছে এখনও বিজেপির নাম উচ্চারণ করেননি উনি। এখনও টিএমসি ছাড়েননি। মন্ত্রিসভায় অদলবদল হয়, ইচ্ছা-অনিচ্ছা, ক্ষোভ-বিক্ষোভ আছে। যতক্ষণ না তৃণমূল ছাড়ছেন, ততক্ষণ বিজেপির ইন্টারেস্ট নেই। আগে উনি টিএমসি ছাড়ুন। বিজেপির ঝান্ডার তলায় কাজ করতে চাইলে তাঁর মতো বড় নেতাকে স্বাগত জানাব।''


আরও পড়ুন- 'নতুন বিধায়ক তৈরি হয়েছে, খুব ভাল', ফোঁস করলেন আর এক TMC MLA