ওয়েব ডেস্ক: সাত বছর ধরে কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থায় উচ্চপদে কর্মরত ছিলেন পিকনিক গার্ডেনের বাসিন্দা মহম্মদ আলি ইসমাইল। এইসময় সংস্থার হয়ে এককাধিকবার কোম্পানির কাজে বিদেশেও গিয়েছিলেন তিনি। গত বছর হজ করতে যান ইসমাইল। অভিযোগ, তারপরই সব কিছু বদলে যায়। ২০১৪ সেপ্টেম্বর মাস থেকে আচমকাই তাঁর বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়। চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে তাঁকে অফিসে আসতেও নিষেধ করা হয় বলে দাবি করেন ইসমাইল। এরপর জুনের ১৭ তারিখ বকেয়া বেতন চাইতে, দক্ষিণ কলকাতায় সংস্থার দফতরে যান তিনি। আর তখনই তাঁকে অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ইসমাইলের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যে সংস্থায় গত সাত বছর ধরে তিনি কাজ করতেন, হঠাত্‍ই সেখান থেকে এহেন ব্যবহার পেয়ে মানসিক ভাবে খুব আঘাত পান ইসমাইল। এরপর বালিগঞ্জ থানায় যান ইসমাইল। অভিযোগ, কর্তব্যরত পুলিস অফিসার কোনও আফআইআর না নিয়ে, তাঁকে নিয়ে নিজেই চলে যান ওই সংস্থায়। তারপর? এফআইআর নেওয়া তো দুরস্ত। ইসমাইলের অভিযোগ, কর্তব্যরত পুলিস অফিসার তাঁকে জোর করে মালিক পক্ষের সঙ্গে মধ্যস্থতা করার পরামর্শ দেন। শুধু পরামর্শই নয়। অভিযোগ, জোর করে একপ্রকার তাঁকে মধ্যস্থতা করতে বাধ্য করা হয়।


গোটা ঘটনায় ভীষণ ভাবে ভেঙে পড়েছেন পিকনিক গার্ডেনের এই বাসিন্দা। তাঁর অভিযোগ, স্রেফ দাড়ি রাখার কারণে যদি তাঁকে কোনও সংস্থা থেকে সন্ত্রাবাদী তকমা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়, তাহলে আগামী দিনে তিনি যদি নিজে থেকে কোনও ব্যবসা শুরু করেন, তখনও কি বাধা আসবে না?