নিজস্ব প্রতিবেদন: দেবশ্রী রায়ের সঙ্গে দল করা মোটেই সম্ভব নয়। বিজেপি নেতৃত্বকে সেটা জানিয়ে দিয়েছি। কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে স্পষ্ট করলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। ফলে দেবশ্রীর যোগদান নিয়ে যে শোভন-বৈশাখীর আপত্তি তা স্পষ্ট হয়ে গেল। একইসঙ্গে শোভন ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিলেন, শর্ত না মানলে তাঁর পক্ষে বিজেপি করা সম্ভব নয়।           


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ১৪ অগাস্ট দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান শোভন-বৈশাখী। ওইদিন দিল্লি পৌঁছে গিয়েছিলেন দেবশ্রী রায়। কিন্তু দেবশ্রীকে দেখে বেঁকে বসেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। স্পষ্ট বলে দেন, দেবশ্রীকে নিলে তাঁরা আর নেই। সে যাত্রায় আর দেবশ্রী রায় দলবদল করতে পারেননি। কিন্তু পরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ব্যক্তির মধ্যে সংঘাত থাকতেই পারে, কিন্তু তার জন্য দলের সিদ্ধান্ত কোনও প্রভাব পড়বে না। দেবশ্রী রায়ের সঙ্গে কথাবার্তা হয়েছে। দিন কয়েক আগে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বাড়িতেও গিয়েছিলেন শোভন-বৈশাখী। সেখানেও কৈলাস বুঝিয়ে দেন, দেবশ্রী রায়কে নিয়ে কারও আপত্তি মানা হবে না। তখনই দল থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন শোভন-বৈশাখী। এরপর দিল্লিতে পাড়ি দেন তাঁরা। 



দিল্লিতে মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠকে যখন সব মিটে গিয়েছে বলে মনে হচ্ছিল, কলকাতায় এসেই বেসুরো গাইলেন শোভন। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বলেন, ''দেবশ্রী রায়কে নিয়ে মুকুল দা'র সঙ্গে কথা হয়েছে। দেবশ্রী রায় আমার পারিবারিক ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে দল করা মোটেই সম্ভব নয়, সেটা আমরা জানিয়েছি। দল এবার সিদ্ধান্ত নেবে। দিলীপবাবু সঙ্গেও দেবশ্রী রায় সম্পর্কে কথা হয়েছে। আমাদের কথা ও সমস্যা দিলীপবাবুকে জানিয়েছি।''


দেবশ্রী রায়কে নিয়ে সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত বিজেপির সঙ্গে যে দূরত্ব রাখবেন তাও স্পষ্ট করে দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। বলেন,''মুকুল দা ডেকেছিলেন, কথা বললেন। সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে, এমন কোনও কথা হয়নি। দেখা যাক কী হয়? উনি দায়িত্ব নিয়েছেন। যারা ভাবছেন সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে, সেটা সত্যের অপলাপ করা হবে।''


বলে রাখি, দিন কয়েক আগে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বাড়িতে গিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখা কৈলাস জানিয়ে দেন, বৈশাখীর আপত্তি মানা হবে না। দেবশ্রী রায়কে বিজেপিতে স্বাগত জানানো হবে। একইসঙ্গে কৈলাস ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেন, বৈশাখীকে নিয়ে দলের অন্দরেই তৈরি হয়েছে অসন্তোষ। এরপরই শোভন চট্টোপাধ্যায় ইস্তফা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র জানিয়ে দেন, বৈশাখীর অপমান সহ্য করবেন না তিনি। আর দেবশ্রীকে নিয়ে তাঁরও আপত্তি রয়েছে। সেই অবস্থানেই অনড় রয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। 


আরও পড়ুন- কলকাতায় নেমেই বেসুরো শোভন-বৈশাখী, ল্যাজেগোবরে রাজ্য বিজেপি