নিজস্ব প্রতিবেদন: ডেঙ্গি মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দলীয় কাউন্সিলরদের নিয়ে পুরসভায় বৈঠক সারলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। মেয়রের এই বৈঠকে ছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলররা। আর তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। তাদের প্রশ্ন, কীভাবে পুরসভার ভিতরে বিরোধীদের বাদ দিয়ে শুধুমাত্র দলীয় কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন মেয়র?   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে কলকাতার মেয়রের যুক্তি, পুরসভায় তৃণমূলের পরিষদীয় দলনেতা হিসেবে তিনি কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। শোভনবাবু জানান, কীভাবে ডেঙ্গি পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে, তার নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। যদিও বুধবারই ডেঙ্গিকে 'প্রাকৃতিক বিপর্যয়' বলে জনমানসে আতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগে সংবাদমাধ্যমে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন শোভন। 


সূত্রের খবর, ডেঙ্গি পরিস্থিতির মোকাবিলার চেয়েও বৈঠকে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে বিরোধীদের আক্রমণ সামলানোর কৌশল। কাউন্সিলরদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, শীত পড়লেই ডেঙ্গির প্রকোপ কমবে। তাই কয়েকদিন পুরসভার কর্মীদের কাজে হাত লাগাতে হবে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও ডেঙ্গি প্রতিরোধে সচেতন করতে হবে কাউন্সিলরদের।    
        
এদিকে ডেঙ্গি নিয়ে সরকারকে কোণঠাসা করতে আসরে নেমেছে বিরোধীরাও। এদিন পুরসভার সামনে মশারি টাঙিয়ে বিক্ষোভ দেখান সিপিএম নেতাকর্মীরা।পাশাপাশি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলাও করেছে সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপি। অনিন্দ্যসুন্দর দাস, অরিন্দম দাস, ও শুভঙ্কর চক্রবর্তী আলাদা আলাদা জনস্বার্থের মামলার শুনানি সম্ভবত সোমবার হতে চলেছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। মামলাকারীদের বক্তব্য, রাজ্য সরকারকে ডেঙ্গি নিয়ে সম্পূর্ণ তথ্য জানাতে হবে। ক্ষতিপূরণ দিতে হবে মৃতদের। 


আরও পড়ুন, ডেঙ্গিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় বললেন কলকাতার মেয়র