নাড্ডার সঙ্গে কথা, পুরভোটে বিজেপির মুখ হচ্ছেন শোভন?
পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, `ও আসুক না কথা বলুক। কথা-ই তো বলে না। ও মমতার সঙ্গে বসুক।`
নিজস্ব প্রতিবেদন : পুরভোটে কি বিজেপির মুখ শোভন? বিজেপি সূত্রে খবর, সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা ও বি এল সন্তোষের সঙ্গে কথা হয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। রত্না চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলে দায়িত্ব পেতেই ক্ষুব্ধ হন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তারপরই সোমবার কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে কথা হয় শোভনের। ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, তারপরই নতুন করে বিজেপিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন শোভন। তবে কি এবার পুর নির্বাচনে বিজেপির মুখ হতে চলেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়? উসকে উঠেছে সেই জল্পনা।
প্রসঙ্গত, গত বছর অগাস্ট মাসে বিজেপিতে যোগ দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। যদিও পদ্ম শিবিরে তাঁর মধুচন্দ্রিমা পর্ব শেষ হতে সময় লাগেনি। গেরুয়া শিবিরে সঙ্গে 'সুসম্পর্ক' অচিরেই মিটে যায়। বিজেপি থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত পর্যন্ত নেন শোভন। তবে মুকুল রায়ের হস্তক্ষেপে শেষপর্যন্ত সেইসময় ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসেন শোভনবাবু। তবে তাঁর তৃণমূলে ফেরার সম্ভাবনা নতুন করে উসকে ওঠে গত বছর ভাইফোঁটার দিন। ভাইফোঁটা নিতে সোজা কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। তৃণমূল নেত্রীর হাত থেকে ফোঁটা নেন তিনি।
অন্যদিকে বিজেপির বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে বারংবার তাঁর অনুপস্থিতি সামনে আসে। জে পি নাড্ডা, অমিত শাহ, বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে যখন কলকাতায় এসেছেন, দলের তরফে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও আসেননি শোভন। ইস্তফা না দিলেও রাজনীতির ময়দান থেকে কার্যত নিজেকে পুরোপুরি সরিয়েই নেন তিনি। কিন্তু পুরভোটে রত্না চট্টোপাধ্যায়কে তৃণমূল বেহালার মুখ করতেই শোভন চট্টোপাধ্যায় ক্ষুব্ধ হন বলে ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর। আর তারপরই নাকি বিজেপিতে নতুন করে সক্রিয় হয়ে ওঠেন শোভন। কথা বলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে।
আরও পড়ুন, 'মোদীর দেখানো মন্ত্রিত্বের লোভে পা দিয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য', বিজেপিকে চাঁছাছোলা আক্রমণ অধীরের
প্রসঙ্গত, বেহালায় রত্না চট্টোাধ্যায়কে মুখ করার প্রসঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায় 'নিষ্ক্রিয়' হয়ে আছেন, এমন মন্তব্য করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এরপরই আজ সকালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেখা যায় বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কলেজ সংক্রান্ত বিষয়ে সাক্ষাৎ বলে দাবি করা হলেও, সূত্রে খবর এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে 'নিষ্ক্রিয়' মন্তব্যের জন্য ক্ষোভপ্রকাশ করেন বৈশাখী। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় যদিও দাবি করেছেন, এই নিয়ে নাকি কোনও কথা-ই হয়নি। তৃণমূল মহাসচিব বরং পাল্টা বলেন, "শোভনকে নিয়ে তো বার বারই বলেছি, ওর তৃণমূলে থাকা উচিত। এখন শোভন চান, রত্না থাকলে তিনি দল করবেন না। কিন্তু এটা তো তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। রাজনীতিটা রাজনীতির মতো করুক। ব্যক্তিগত বিষয়টা অন্য জায়গায় থাকুক। ও আসুক না কথা বলুক। কথা-ই তো বলে না। গত ২ আড়াই বছর ধরে চুপচাপ বসে রয়েছে। এভাবে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় শোভনকে দেখতে ভালো লাগে না। দল তো বলতে পারে ও নিজের কথা নিজে কেন বলছে না? অন্যকে দিয়ে বলাচ্ছে। ও মমতার সঙ্গে বসুক। ও ভাবুক!"