শিব্রাম চক্কোত্তি মশায় এখন বেঁচে থাকলে নির্ঘাৎ বলতেন, কেন তাঁর করোনা হচ্ছে না! এবং নিশ্চয়ই তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই চিকিৎসার জন্য ভর্তি হতে চাইতেন। না, এ জন্য নয় যে, তাঁর বাসস্থান মুক্তারামবাবু স্ট্রিট থেকে ওটা কাছাকাছি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তা হলে কেন?


কেন আবার! এখন তো কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই রেস্তোরাঁর মতো আইটেম মিলছে। আর কে না জানে, শিব্রাম ভয়ানক খাদ্যরসিকও ছিলেন। 



 


তা হলে দেখা যাক কী কী মিলছে সেখানে? বলুন, কী মিলছে না!মাছ-মাংস-লুচি-ভাত, দই-মিষ্টি-চাটনি, পাঁপড়-নবরত্ন-পনির এবং পায়েস! ভাববেন না যে, সেখানে সত্যিই কোনও হোটেল খোলা হয়েছে। এ হল পুজোর পাঁচদিন করোনা আক্রান্তদের যা খাওয়ানো হবে তারই এক ঝলক। করোনারোগীদের এভাবেই খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেডিক্যাল কলেজ রোগী কল্যাণ সমিতি।


প্রায় নজিরবিহীন এই ব্যবস্থার উদ্দেশ্য হল-- করোনারোগীদের মানসিক ভাবে শক্তি জোগানো এবং তাঁরা যাতে কোনও ভাবেই না ভাবেন যে, তাঁরা এই উৎসবের বাইরে। বরং তাঁদের মনে উৎসবের খুশির রঙের ছোঁয়া দিতেই এ হেন সিদ্ধান্ত। মেনু নিয়ে এমনই জানান, রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের মন্ত্রী নির্মল মাজি।


প্রসঙ্গত, নির্মল মাজি নিজেও করোনা আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ। এবং তিনি মেডিক্যালেরই সুপার স্পেশালিটি বিল্ডিংয়ে (এসএসবি) চিকিৎসাধীন। এখনও তাঁর শ্বাসকষ্ট রয়েছে। অক্সিজেন নিতে হচ্ছে। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যাও রয়েছে। তাঁর ছেলেও কলকাতা মেডিক্যালেই কর্মরত চিকিৎসক। তিনিও করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের বেডে।



তা হলে একবার দেখে নেওয়া যাক, আজ, ষষ্ঠী থেকে ঠিক কী কী পড়ছে মেডিক্যালের করোনারোগীদের পাতে।
ষষ্ঠীর দুপুরে ভাতের সঙ্গে মাছ; রাতে চিকেন স্যুপ/মাংস। 
সপ্তমীর দুপুরেও ভাতের সঙ্গে মাছ; রাতে চিকেন স্যুপ/মাংস। অষ্টমীতে নিরামিষ; সেদিন দুপুরে ভাত নবরত্ন ও পনিরের তরকারি; রাতে লুচি মিষ্টি বোঁদে। নবমীতে দুপুরের পাতে কচিপাঁঠার ঝোল; রাতে মাছ/চিকেন স্যুপ। দশমীতে দুপুরে ভাতের পাশে থাকবে ভেটকি পাতুরি, সঙ্গে পাঁচমিশেলি সবজি; রাতে মাংস/মাছ। আর এ সবের সঙ্গে প্রতিদিনই পাতে থাকছে দই মিষ্টি চাটনি পাঁপড়। থাকছে এমনকী পায়েসও!


নাহ্! এমন মেনু জানলে অনেকেরই রসনা রসসিক্ত হয়ে উঠবে। একা শিব্রামকে দোষ দিয়ে লাভ কী!


আরও পড়ুন: আব্দুলের হয়ে মহম্মদ রফিই লড়ছেন করোনার সঙ্গে