SSC Recruitment Case: কলকাতা হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায়! বাতিল ২৪ হাজার নিয়োগ, ফেরাতে হবে মাইনের টাকা
কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে পুরো নিয়োগ বাতিল করা হল। হাইকোর্ট জানিয়েছে সিবিআই এই ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাবে। রাজ্যের কারা যুক্ত সুপার নিউমারিক পোস্ট তৈরি করা নিয়ে সেটা নিয়েও সিবিআইকে তদন্ত করতে হবে। বেআইনি নিয়োগ আটকাতে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছিল বলেই আদালতের পর্যবেক্ষণ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল: বড় ঘোষণা কলকাতা হাইকোর্টের। এসএসসি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। ৩৫০টি মামলার আবেদন। ২৮০ পাতার রায়ে ৩৭০টি প্যারাগ্রাফ রয়েছে। কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে পুরো প্যানেল ‘নাল আন্ড ভয়েড’। কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে যে ওএমআর নষ্ট করার আগে স্ক্যান কপি রাখা হয়নি।
কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে পুরো নিয়োগ বাতিল করা হল। হাইকোর্ট জানিয়েছে সিবিআই এই ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাবে। রাজ্যের কারা যুক্ত সুপার নিউমারিক পোস্ট তৈরি করা নিয়ে সেটা নিয়েও সিবিআইকে তদন্ত করতে হবে।
বেআইনি নিয়োগ আটকাতে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছিল বলেই আদালতের পর্যবেক্ষণ। ২৩ লক্ষ মোট চাকরি পরীক্ষার্থী। ২০১৬ সালে এসএসসি নিয়োগ শূন্যপদ ২৪,৬৪০টি। কিন্তু ২৫,৭৫৩টি নিয়োগপত্র ইস্যু করা হয়েছিল। অর্থাৎ শূন্য পদের থেকে ১১১৩ জনকে বাড়তি নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: Newtown: পুরনো বচসার জের! পেটে ঢুকিয়ে দেওয়া হল শিককাবাবের শিক
এই নির্দেশের উপর SSC, বিতর্কিত চাকরি প্রার্থীরা স্টে চাইলে তা বাতিল করে দেওয়া হয় ডিভিশন বেঞ্চের তরফে। প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর যারা চাকরি পেয়েছিল তাদেরকে টাকা ফেরানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
এসএসসি মামলায় প্রায় আট হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে সেই মামলা যায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত।
এসএসসি-র চাকরি বাতিলের মামলা হাই কোর্টে ফেরত পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির বেঞ্চকে ছয় মাসের মধ্যে রায় ঘোষণার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। জানা গিয়েছে মাত্র তিন মাসেই শুনানি শেষ করে রায় ঘোষণা করা হয়ছে বেঞ্চের তরফে।
আরও পড়ুন: Saayoni Ghosh: বিয়াল্লিশের জ্বলন্ত গরমে সায়নীর মুখেও ৪২-এ ৪২!
আদালতের রায়র আগে সোমবার সকালে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি লেখেন, ‘শিক্ষক চাকরি মামলা। যেখানে ভুল, অন্যায়, ব্যবস্থা হোক। দোষীরা শাস্তি পাক। কিন্তু, যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি যেন বাধা না পায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আন্তরিক সদিচ্ছা নিয়ে তাদের চাকরির চেষ্টা করেছে। কিছু অন্যায়কে প্রাধান্য দিতে গিয়ে যেন যোগ্যদের অনিশ্চয়তায় ফেলে না দেওয়া হয়। এদের স্বার্থে যা চেষ্টা দরকার, সরকার করেছে। এদের অবিলম্বে চাকরি দরকার। আশা করি আদালতের রায়ে এই চাকরির জট খুলতে সরকারের চেষ্টা মান্যতা পাবে।‘
বিচারপতি বসাক জানান যে এসএসসি সংক্রান্ত মূল মামলাগুলি গ্রহণযোগ্য। পাশাপাশি সোমা দাস নামে একজনের চাকরি বহাল থাকবে বলেও জানিয়েছে আদালত। তিনি ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ায় মানবিক কারণে এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)