অর্ণবাংশু নিয়োগী: ধাপে ধাপে দু'শোরও বেশি প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রথমে ৫৩ জন, গতকাল ১৪০ জনের পর আজ আরও ৫৯ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল আদালত। আজ ওইসব শিক্ষকদের চাকরি বাতিল ও বেতন বন্ধের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। সবেমিলিয়ে মোট ২৫২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল আদালত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-শববাহী গাড়ি না পেয়ে স্ত্রীর মৃতদেহ কাঁধে তুলে নিলেন স্বামী, করুণ দৃশ্যের সাক্ষী জলপাইগুড়ির হাসপাতাল


প্রাথমিকে ২৬৮ জনের মধ্যে গতকাল ১৪০ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ সেই তালিকায় রয়েছেন ৫৯ জন। একজনকে তার খারাপ ব্যবহারের জন্য ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই টাকা না মেটালে মামলা শোনা হবে না।


উল্লেখ্য, প্রাথমিকে মোট ২৬৮ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে তারা সবাই সুপ্রিম কোর্টে যান। ওই আবেদনের ভিত্তিতে তাদের সবাইকে কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেইসব হলফনামা দেওয়ার পরই এই সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা হাইকোর্টে।


প্রাথমিকে বিতর্কিত ২৬৮ জনের নিয়োগ মামলায় ১৪০ জনের হলফনামা নিয়ে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে ফের শুনানি হয়। সেইসব হলফনামায় বোর্ডের তরফে পাঠানো একটি মেসেজ দেখানো হচ্ছে। সেই মেসেজের স্ক্রিনশর্ট সবার ক্ষেত্রেই এক। পাশাপাশি, ওই স্ক্রিন শর্ট নেওয়ার টাইম, ও মোবাইলের ব্যাটারি যতটা বেঁচে রয়েছে তাও একই। এমনকি সবকটি ক্ষেত্রেই মোবাইল সাইলেন্ট মোডে আছে বলে দেখা যাচ্ছে।


হালফনামায় মেসেজের ওই স্ক্রিনশর্ট নিয়ে বিচারপতির মন্তব্য, আদালতের সঙ্গে ট্রিক খেলবেন না। ওই মন্তব্যের পর ওই ১৪০ জনের নিয়োগ বাতিল করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। পাশাপাশি এও বলা হয় ওইসব শিক্ষকরা যাতে বেতন না পায় তাও সুনিশ্চিত করতে হবে। তবে ওই ২৬৮ জনের মধ্যে ২ জন চাকরি ফেরত পেয়েছেন। আগামিকাল বাকীরা হলফনামা জমা দেবেন। প্রসঙ্গত, মঙ্লবার ৫৪ জন তাদের চাকরির স্বপক্ষে হলফনামা দেন। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি আদালত।


এদিকে, প্রাথমিকে দুর্নীতির মামলায় সিবিআইয়ের স্ক্যানারে 'পর্ষদের' একটি ফোন নম্বর। এনিয়ে অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, ওই ফোন নম্বরটি কার, কোথা থেকে এসেছিল, খতিয়ে দেখবে সিবিআই।  প্রাথমিকে চাকরি বাতিল হওয়া ২৬৮ জনের মধ্যে একজনের দাবি, ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর একটি নম্বর থেকে তাঁর কাছে ফোন আসে। ফোনের উল্টোদিকে থাকা ব্যক্তি বলেন, তিনি পর্যদ থেকে কথা বলছেন। আমি যেন পর্যদ সভাপচির সঙ্গে দেখা করে নিয়োগপত্র সংগ্রহ করি। বিচারপতি বলেন, পর্ষদের নাম করে কে ফোন করেছিলেন তা বের করতে হবে সিবিআইকে। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)