অর্ণবাংশু নিয়োগী: এসএসসির গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগে অনিয়মে বিস্মিত কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর এবার এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিচারপতি বিশ্বজিত্ বসু। বিচারপতির মন্তব্য, শিক্ষক নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে তা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সিবিআইয়ের রিপোর্ট দেখে বিচারপতি বসুর মন্তব্য, ভয়ঙ্কর পরিসংখ্যান। যা দেখা যাচ্ছে তা গোটা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। গোটা হিমশৈল জলের নিচে রয়েছে। টাকার বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগের যে অভিযোগ রয়েছে তাতে ভবিষ্যতে ছাত্ররা শিক্ষকদের দিকে আঙুল তুলবে। জিজ্ঞাসা করবে এরা কেমন শিক্ষক। জানি না এর শেষ কোথায়। আগে আবর্জনা সাফ করুন। গোটা প্যানেল খারিজ করা উচিত। সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাতে অবৈধভাবে নিযুক্ত ব্যক্তিরা অংশ নিতে না পারে তার ব্যবস্থা করা উচিত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পড়ুন- বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা


এসএসসি-র গ্রুপ ডির একটি মামলার শুনানি করছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিত্ বসু। সেখানেই তিনি শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে তিনি একাধিক মন্তব্য করেন। বিচারপতি বসু বলেন, বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। আমিও সেই লড়াইয়ে সামিল হলাম। শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে যে পরিসংখ্যান হাতে এসেছে তা ভয়ঙ্কর। 


উল্লেখ্য, গতকাল বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের এজলাসে ওএমআর দুর্নীতির ফরেন্সিক রিপোর্ট জমা পড়ে। সেই রিপোর্ট দেখে বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, আমি শকড।  ওই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে শূন্য় পাওয়া পরীক্ষার্থীদের ৫৩ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রুপ সি-তে ৩,৪৮১ জনের নম্বর বদল করা হয়েছে। গ্রুপ ডি-তে ২,৮২৩ জনের নম্বর বদল করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কেউ হয়তো ১ বা কেউ হয়তো ০ পেয়েছিলেন। আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, এসএসসি সার্ভার রুম থেকে ৩টি হার্ড ডিস্ক উদ্ধার হয়েছে। সেই হার্ড ডিস্ক থেকেই দেখা গিয়েছে, প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর হয়তো ছিল ১ বা ০। হাইকোর্টে আজ মোট ৪টি রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই। যথা- গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, এসএলএসটি একাদশ-দ্বাদশ এবং এসএসএসটি নবম-দশম শ্রেণির ক্ষেত্রে নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট। প্রতিটি রিপোর্টেই বিস্ফোরক তথ্য!


সিবিআইয়ের দাবি, এসএসসির সার্ভার থেকে ৯০৭ জন পরীক্ষার্থীর নম্বর বদল করা হয়েছে। এদের মধ্যে প্যানেলে নাম রয়েছে ৬৩১ জনের। দেখা যাচ্ছে, প্রার্থী হয়তো আদতে ১ বা ০ পেয়েছেন। ফেল করেছেন! অথচ সার্ভারে ওই প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর দেখা যাচ্ছে ৫০ বা ৭০। এমনকি ফাঁকা ওএমআর শিট পর্যন্ত জমা দেওয়া হয়েছে! প্রার্থী কিছুই লেখেননি! যেখানে পরে ৫৩ নম্বর বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিন শুনানিতে বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় সাফ বলে দেন এই সমস্ত বেআইনি প্রার্থীরা তাঁদের চাকরি হারাবেন। যদি তাঁরা নিজে থেকে পদত্যাগ করেন তো ভালো, আদালত তাহলে কোনও পদক্ষেপ করবে না। কিন্তু যদি তাঁরা তা না করেন, তাহলে আদালত অন্যভাবে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। এই সকল প্রার্থীরা পদত্যাগ না করলে, পরবর্তীতে তাঁরা যেন আর কোনও সরকারি চাকরির পরীক্ষায় না বসতে পারেন, আমি সেই নির্দেশ দেব। পদত্যাগ না করলে তাঁরা কেউ অন্য সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন না।পদত্যাগ করলে বুঝব যে তাঁরা বুঝতে পেরেছেন, নিজেরা কী করেছেন! নাহলে কড়া পদক্ষেপ।'


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)