প্রবীর চক্রবর্তী: অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে টেট পাশ করার সার্টিফিকেট নিয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। হাজিরা দেওয়ার তালিকায় ছিলেন অনুব্রতর আরও ৫ আত্মীয়। বৃহস্পতিবার সেই মামলা খারিজ করে দেন বিচারপতি। এনিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যার পাশেই দাঁড়ালেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, আদালত ও বিচারপতিদের পূর্ণ সমর্থন করি। কিন্তু গতকাল থেকে এক তরুণীকে কেন্দ্র করে একতরফা প্রচার চলছে। আদালত ওই তরুণী যাতে আদালতে হাজির হন তা দেখতে বলা হয় পুলিস সুপারকেও। পরে সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করা হয়। কোথাও না কোথাও এই অতিসক্রিয়তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে মিডিয়া ট্রায়াল। আজ যেটা গ্রহণযোগ্য হচ্ছে না তা হয়তো গতকাল গ্রহণযোগ্য ছিল। এরা কেউই আত্মপক্ষ সমর্থনের সুয়োগ পেলেন না। যে হলফনামার ভিত্তিতে এই হলফনামা তা আজ গুরুত্বহীন হয়ে গেল। সামাজিকভাবে অপদস্থ করার পরিস্থিতি তৈরি করে দেওয়া হল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-Anubrata Mondal: ‘মেয়ের পাস করার সার্টিফিকেট আছে’, সুকন্যার চাকরি পাওয়া বিতর্কে সরব অনুব্রত


উল্লেখ্য, টেট না দিয়েই চাকরি পেয়েছেন অনুব্রত-কন্যা। এমনকি কোনও দিন স্কুলে না গিয়েও তিনি মাইনে তুলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে একটি মামলায় অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে তাঁর টেট পাশের সার্টিফিকেট নিয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশ আজ খারিজ করে দেন বিচারপতি। পাশাপাশি আজ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যাওয়ার সময় অনুব্রত মণ্ডল সংবাদমাধ্য়মে বলেন, আদালত ওকে তলব করেনি। নথি জমা দিতে বলেছে। মেয়ের টেট পাশ করা আছে। সার্টিফিকেট রয়েছে।


কুণাল ঘোষ আরও বলেন, আইনের বিষয়, কাউকে সম্মান-অসম্মানের বিষয় নয়। কিন্তু মিডিয়া ট্রায়ালের সামনে ফেললে সেটা দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু ধরে আনো। আবার চলে যাও, লাগবে না। তাহলে বক্তব্য শোনা উচিত ছিল। সার্টিফিকেট আছে না নেই তা আদালত দেখতে পারত। আদালতেই তো শেষ কথা। আদালতের বিচার বা এজেন্সির তদন্তের আগে সামাজিক সম্মানহানির পরিবেশ তৈরি করে দেওয়াটা দুর্ভাগ্যজনক।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)