পিয়ালি মিত্র ও তথাগত চক্রবর্তী: এসএসসি কাণ্ডে গ্রেফতার পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে হানা দিয়ে পাওয়া গিয়েছে কোটি কোটি টাকা। ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্য়াটে মিলেছে ২১ কোটি ৯০ লাখ ও বেলঘরিয়ায় ফ্ল্য়াটে মিলেছে ২৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা। তালিকায় রয়েছে প্রচুর গহনা, বিদেশি মুদ্রা, জমি-বাড়ির দলিল। ইডি সূত্রে খবর, মুড়ি-মুড়কির মতো জমি বাড়ি কিনেছিলেন অর্পিতা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ওই বিপুল টাকা নিয়ে আজ কটাক্ষ করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, আমার মনে হয় না, এত টাকা ওই দুজনের হতে পারে! লুঠের টাকা রক্ষা করতেন তাঁরা দুজনে। অনেকের টাকা তাঁরা হেফাজতে নিয়ে সামলাতেন। আমার অনুরোধ, নিজেরা এত কষ্ট পাবেন না। সত্যি কথা বলে দিন।  কষ্ট কম হয়ে যাবে। অন্যের কষ্ট আপনি কেন নিয়ে ঘুরছেন? সত্যি কথা বলে দিন।


এদিকে, কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সূত্রে খবর, বীরভূম ও কলকাতা মিলিয়ে কমপক্ষে ৩২টি সম্পত্তির অধিকারী অর্পিতা ও তার নামে থাকা সংস্থা। কলকাতার নয়াবাদেই মিলেছে ১৩টি ফ্ল্যাটের সন্ধান। ২টি ফ্ল্যাট রয়েছে ঠাকুরপুকুর এমজি রোডে, ১টি দুর্গাপ্রসন্ন রোডে, ২টি ফ্ল্যাট গাঙ্গুলিবাগানে। মাদুরদহে ফ্ল্যাট ছাড়াও রয়েছে জমি সহ বাড়ি। আগেই ডায়মন্ড সিটি সাউথে  ৩টি ফ্ল্যাট, ক্লাবটাউনে ২টি ফ্ল্যাটের হদিশ মিলেছিল।


অন্যদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বানতলার চর্ম নগরীর পেছনে ১০ বিঘে জমি কিনেছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। এমনটাই তদন্ত সংস্থা সূত্রে খবর। ওই জমিটি এখন পাঁচিল দেওয়ার কাজ চলছে। জমিটিকে এলাকার মানুষজন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বলেই জানে। চার বছর আগে ওই জমি কেনা হয় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে। একটি আড়াই বিঘে এবং অন্যটি সাড়ে সাত বিঘে। দুটো পৃথক দলিল করা হয়। বেলেঘাটার একটি পরিবার ওই জমি বিক্রি করে। স্থানীয়দের দাবি, বানতলা চর্ম নগরীর দক্ষিণ দিকের ওই বিশাল জমি কেনা হয় জলের দরে। এছাড়াও বারুইপুরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ের নামেও একটি সম্পত্তির হাদিশ পাওয়া যাচ্ছে। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের মেয়ের সঙ্গে ওই জমির মালিক জেলা পরিষদের কর্মাধক্ষ্য আবু তাহের। সরকারি নথিতে দুজনের নাম থাকলেও বিষয়টি অস্বীকার করছেন তৃণমূল নেতারা।


বুধবার সন্ধ্যায় অর্পিতার রথতলার ক্লাবটাউনের ফ্ল্যাট থেকে অর্পিতা-পার্থর 'কুবেরের ধনে'র সন্ধান পায় ইডি। মোট ২৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা উদ্ধার হয়। উদ্ধার হওয়া ২০০০ টাকার নোটগুলিকে নিয়ে ৫০ লাখ করে করে এক-একটি বান্ডিল করা হয়। অন্যদিকে উদ্ধার হওয়া ৫০০ টাকার নোটগুলিকে নিয়ে ২০ লাখ করে এক-একটি বান্ডিল করা হয়। ওদিকে আলমারির লকার থেকে উদ্ধার হয় ৪ কোটি ৩১  লাখ টাকা মূল্যের সোনার বার ও গয়না। যার মধ্যে রয়েছে ১ কিলোগ্রাম ওজনের ৩টি সোনার বার। ৫০০ গ্রাম করে ৬টি কাঁকন ও অন্যান্য গয়না। এমনকি একটি সোনার পেনও উদ্ধার হয়।


আরও পড়ুন-কাঁদলেন লক-আপে, বার বার মায়ের কথা অর্পিতার মুখে!  


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)