পার্থ প্রতিম চন্দ্র- আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরেই জানা যাবে রাজ্যে সরকার কে গড়বে। রাজ্যের ২৯৪টি কেন্দ্রের ফলাফল নিয়েই সবার আগ্রহ। কিন্তু তাও আলাদা করে কিছু কেন্দ্র সবসময়ই নজর কাড়ে। আসুন দেখে নিই এমনই ১৫টা কেন্দ্র যা নিয়ে সবার আগ্রহ রয়েছে---


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভবানীপুর-মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্র। মমতাকে টক্কর দিতে হাজির দীপা দাশমুন্সি। জোট প্রার্থী হয়ে দীপা প্রচারে সারা ফেলেছেন। তবে তৃণমূল কনফিডেন্ট শুধু জয় নয়, বড় জয় আসবে। অবিশ্বাস্য কিছুর আশায় জোট। লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে লিড নিয়েছিল বিজেপি। তবে এবারের ভোটে এই কেন্দ্রে বিজেপি শুধু তৃতীয় শক্তি। সবার অপেক্ষা এই কেন্দ্রে কী হয়।



নারায়ণগড়- প্রার্থী স্বয়ং রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। গোটা রাজ্য চষে ফেলে সূর্য জোট সরকার ক্ষমতায় আসার কথা বলেছেন। এখন দেখার সূর্য নিজের কেন্দ্রে ফের উদয় হতে পারবেন কি না। লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রে কিন্তু বামেরা অনেকটা পিছিয়ে ছিল।



যাদবপুর-গত বিধানসভা ভোটে এখান থেকেই হেরেছিলেন তত্‍কালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সেই হারের ক্ষত ভোলাতে মরিয়া বামেরা। জোট প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী। কঠিন লড়াইয়ে মনীশ গুপ্ত। জোর টক্কর হতে চলেছে।



চৌরঙ্গি-ত্রিমুখি লড়াই। সুদীপ জায়া নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি এলাকার রাজা সোমেন মিত্র। কে জেতেন সেটাই দেখার। লড়াইটা বড্ড কঠিন। একেবারে শেষ রাউন্ড পর্যন্ত লড়াই হবে।



হাওড়া উত্তর-লড়াইয়ে রূপা গাঙ্গুলি, লক্ষ্মীরতন শুক্লা, সন্তোষ পাঠক। বছর ভর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলন করেছেন রূপা। এই কেন্দ্রে রূপা জিততে না পারলে বিজেপি অস্বস্তিতে পড়বে। রূপা নিজেও জানেন জিততে না পারলে মর্যাদার লড়াইয়ে মাথা নীচু করে ফিরতে হবে। এই আসনে একেবারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।



কামারহাটি-মন্ত্রীর হাজতবাস। পরে অবশ্য মন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন। মদন মিত্র এই কেন্দ্রেরই প্রার্থী। জেল থেকে ভোটে লড়ে, একদিনও সশরীরে প্রচার না করে জিততে পারবেন মন্ত্রী?সবার নজর সেদিকেই।  



বিধাননগর-একেবারে খাঁটি তৃণমূল বিরোধিতা করে গিয়েছেন। সেই অরুণাভ ঘোষ এবার বামেদের সমর্থনে জোট প্রার্থী। শেষ অবধি অরুণাভ কী পারবেন সুজিত বোসের মত হেভিওয়েটকে হারাতে?উত্তর জানাতে সবাই তাকিয়ে রয়েছে।



বসিরহাট-হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। উপনির্বাচনে দেখা গিয়েছিল একটা বড় সময় পর্যন্ত এগিয়ে থেকেও শেষে হারতে হয়েছিল তৃণমূলের তারকা প্রার্থী দীপেন্দু বিশ্বাসকে। বিজেপির খুব আশা এই আসনটা তাদের প্রার্থী শমিক ভট্টাচার্য জিতবেনই। শমিক এগিয়ে থাকলেও জোর লড়াই হবে।



রায়দিঘি-গতবার রায়বাঘিনী হয়ে মন্ত্রী কান্তি গাঙ্গুলিকে হারিয়ে দিয়েছিলেন দেবশ্রী রায়। সেবার ছিল প্রতিষ্টান বিরোধী হাওয়া। এবার?উত্তরের খোঁজে থাকবে গোটা বাংলা।



ভাঙড়- শিবির বদলে আব্দুল রেজ্জাক মোল্লা এবার এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী। কাইজার, আরাবুলরা কী চাষার ব্যাটাকে জেতাতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। নাকি ঘটেছে অন্য কিছু। সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্যে।



দিনহাটা-তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ। জোট প্রার্থী অক্ষয় ঠাকুর। জোর লড়াই। সবাই তাকিয়ে।


চাঁপদানি-নিয়ম করে তৃণমূল বিরোধিতা করে গিয়েছেন যিনি। কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান এই কেন্দ্রের প্রার্থী। মান্নান পারবেন?


খড়গপুর সদর-চাচা নাকি পদ্মের দিলীপ ঘোষ! একেবারে সরাসরি লড়াইয়ে কংগ্রেস-বিজেপি।


সিঙ্গুর-নাম হি কাফি হ্যায়। গোটা দেশকে আন্দোলনে নাড়িয়ে দেওয়া সিঙ্গুরের এবারে ভোটে আলাদা আকর্ষণের কেন্দ্রে। মাস্টারমশাই কী দলের একাংশের অসহযোগিতা কে হেলায় হারাতে পারবেন! অবশেষে কী জিততে পারবেন রবীন দেব?সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।


ময়ূরেশ্বর-বিজেপি প্রার্থী লকেট। প্রচারে, নির্বাচনের দিন একেবারে উজাড় করে দিয়েছেন। শেষ অবধি পারবেন কী জিততে?সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।