অঞ্জন রায়


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আইনি পথে বৈঠক এড়ানোর চেষ্টা করেও শেষরক্ষা হল না। রথযাত্রা নিয়ে বৈঠকে বসতে একপ্রকার বাধ্য হল রাজ্য প্রশাসন। আগামিকাল অর্থাত্ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় লালবাজারে দুপক্ষের বৈঠক।বিজেপির রাজ্য দফতরে চিঠি পাঠিয়েছে লালবাজার। ওই বৈঠকে থাকবেন মুকুল রায়, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও জয়প্রকাশ মজুমদার। প্রশাসনের তরফে থাকবেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজি।      


গেরুয়া শিবিরের রথযাত্রা কর্মসূচি নিয়ে এখন শাসক দল ও বিজেপির মধ্যে চলছে মল্লযুদ্ধে। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে ধাক্কা খায় বিজেপি। এরপর ডিভিশন বেঞ্চের শরণাপন্ন হয় তারা। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ স্বস্তি দেয় বিজেপিকে। শুক্রবার বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, রথযাত্রার দিনক্ষণ নির্ধারণে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজির সঙ্গে বৈঠক করতে হবে বিজেপিকে। বিজেপির তরফে যে তিন জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে দুজন অর্থাত্ মুকুল রায় ও জয়প্রকাশ মজুমদারকে নিয়ে আপত্তি ছিল রাজ্যের। রাজ্য সরকারের যুক্তি ছিল, মুকুল রায় ও জয়প্রকাশ মজুমদারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে, তাঁদের সঙ্গে কীভাবে বৈঠকে বসবেন রাজ্যের ডিজি, মুখ্যসচিব।


সেই যুক্তি উড়িয়ে দেয় আদালত। স্পষ্ট জানায়, অপরাধ প্রমাণ না হলে অপরাধী নয়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৈঠকে বসার সময় দেওয়া হয়। ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই বিজেপিকে বৈঠকে ডাকল লালবাজার। 


বৈঠক যে হতে চলেছে, তার ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। সোমবার নবান্নে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ডিজি। কনফারেন্স কলে ছিলেন সংশ্লিষ্ট জের পুলিস সুপাররা। সূত্রের খবর, সংখ্যালঘু ও উত্তেজনাপ্রবণ এলাকা দিয়েও রথযাত্রার অনুমতি দেওয়া হবে না। বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক এনিয়ে আলোচনা করা হবে। তাঁদের কী করণীয়, তা বলে দেবেন পুলিস কর্তারা।  


আরও পড়ুন- সরকারি কর্মীদের খুশি করতে লোকসভার আগে পেনশন প্রকল্পে ভাগ বাড়াল কেন্দ্র