অঞ্জন রায়


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লোকসভা ভোটের ঠিক আগেই রাম মন্দির নিয়ে ধুঁয়ো তুলে দিয়েছে বিজেপি। অচ্ছে দিনের স্বপ্নে এবার আর মানুষকে বিভোর করা যাবে না, তা বিলক্ষণ বুঝে গিয়েছেন বিজেপি নেতারা। তবে শুধু হিন্দুত্বে তো আর চিড়ে ভিজবে না, সংখ্যালঘু ভোটও চাই। আর পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে তো আরও বেশি করে মুসলিম ভোটের দরকার। কারণ, এরাজ্যে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ভোটে ফারাক গড়ে দিতে পারে। সে জন্যই সংখ্যালঘু মন জয়ে নেমে পড়লেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আরএসএসের মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে গিয়ে দিলেন সম্প্রীতির বার্তা। বোঝানোর চেষ্টা করলেন বিজেপি সবাইকে নিয়ে চলতে চায়। বরং বিরোধীরাই মুসলিমদের ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করে এসেছে।      
    
সাধারণত সঙ্ঘের মতো কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের 'রাজনৈতিক শাখা'র থেকে দূরত্ব বজায় রেখেই চলে দেশের মুসলিম সমাজ। ২০১৪ সালে ভোটপ্রচার থেকেই সবকা সাথ সবকা বিকাশ মন্ত্রে মুসলিমদের মন জয়ের চেষ্টা শুরু করেন নরেন্দ্র মোদী। তার সাফল্যও মিলেছে। প্রধানমন্ত্রীর 'বিকাশে'র উপরে ভরসা রেখেছিল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একাংশ। কিন্তু পাঁচবছর পর শুধু 'বিকাশে'র বুলিতে মন ভরবে না দেশবাসীর। কর্মসংস্থানের অভাব, পেট্রোল-ডিজেলের দর চিন্তায় ফেলে দিয়েছে সরকারকে। আর সে কারণেই সঙ্ঘ পরিবারের শাখা সংগঠনগুলির মাধ্যমে রাম মন্দির নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে হিন্দুত্বের পুরনো খেলা। ওদিকে সংখ্যালঘু মন জয়ে তিন তালাকের মতো বিষয়কেও হাতিয়ার করছে মোদী সরকার। সেই কৌশলেই বাংলাতেও সংখ্যালঘুদের নিয়ে বিজয়া সারলেন দিলীপ ঘোষ। এর আগেও সংখ্যালঘু কর্মশালা করেছে বিজেপি। সংখ্যালঘুদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন শিবপ্রকাশ ও বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত অরবিন্দ মেনন। 


রাজনৈতিক মহলের মতে, গুজরাটের মতো রাজ্যে সংখ্যালঘু ভোট ধর্তব্যের মধ্যে আসে না। হিন্দু ভোটেই ক্ষমতায় আসা যায়। কিন্তু বাংলায় সেই কৌশল খাটে না। এখানে সংখ্যালঘু ভোট ফ্যাক্টর। তাই লোকসভার কয়েক মাস আগে থেকে ভাবমূর্তি ফেরাতে নেমে পড়লেন দিলীপ ঘোষ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, সংখ্যালঘু প্রীতির এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারবেন কি বিজেপির রাজ্য সভাপতি?


উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে নয়াদিল্লিতে 'আরএসএস-এর চোখে ভবিষ্যত ভারত' শীর্ষক সম্মেলনে মোহন ভাগবত বলেছিলেন,''হিন্দুত্বের মানে সকলকে একসঙ্গে নিয়ে চলা। মুসলিমদের গ্রহণ করাও এর অংশ। মুসলিমদের যদি গ্রহণ করতে না পারি, এটা হিন্দুত্ব নয়। ভারতীয়ত্বই ও একাত্মকরণই হল হিন্দুত্ব।''


আরও পড়ুন- সংগঠনে নতুন রক্ত সঞ্চারে বামপন্থার পাঠশালা সিপিএমের