নোটবন্দির পরই দিশাহারা দেশের অর্থনীতি, ‘স্ট্যাগফ্লেশনের’ আশঙ্কা করছেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র
ওই সভায় প্রস্তাব রাখা হয়েছে, সামাজিক সুরক্ষা যোজনার জন্য অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক কর্মচারীদের জন্য ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে। কোন কোন ক্ষেত্রে শ্রমিক কর্মচারীদের চাহিদা আছে সেটার তথ্য বনিক সভাগুলো দেবে
নিজস্ব প্রতিবেদন: জিএসটি কার্যত মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে। এমনই উদ্বেগ শোনা গেল এফআইসিসিআই, ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, বেঙ্গল চেম্বার-সহ ১৯ টি বনিক সভা আয়োজিত সম্মলনে। উপস্থিত ছিলেন ওই সব বনিক সভার ৬০ জন প্রতিনিধি এবং রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
ওই সভায় প্রস্তাব রাখা হয়েছে, সামাজিক সুরক্ষা যোজনার জন্য অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক কর্মচারীদের জন্য ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে। কোন কোন ক্ষেত্রে শ্রমিক কর্মচারীদের চাহিদা আছে সেটার তথ্য বনিক সভাগুলো দেবে। প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থাও করা হবে। এক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ নেওয়া হবে। ওই সভায় আরও বলা হয়েছে, দক্ষতা বাড়ানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নতুন উদ্যোগপতি (ছোটো, মাঝারি) তৈরি করা যায় সেই চেষ্টা করবে বিভিন্ন বনিক সভা। ছোটো ও ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য ৭০ হাজার কোটি টাকা ব্যাঙ্ক ঋণ পাওয়া যাবে। জেলা ইন্ডাস্ট্রি অফিসগুলোতে নতুন ছোটো ও মাঝারি ব্যবসা কিভাবে করা যায় তার সহায়তা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- জাতীয়স্তরে NRC-CAA নিয়ে মমতার সঙ্গে দোস্তিতে আপত্তি নেই ইয়েচুরির
অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলছেন, এই প্রথম ভারতীয় অর্থনীতিতে "স্ট্যাগফ্লেশন" এর ইঙ্গিত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতীয় অর্থনীতি এই মুহূর্তে দিশাহারা অবস্থায় পৌঁছেছে। নোটবন্দির কারণেই এই স্ট্যাগফ্লেশন। তার সঙ্গে যুক্ত হয় জিএসটি। উল্লেখ্য, জিএসটিতে প্রতারণা হয়েছে ৪৪ হাজার কোটি টাকা। জানিয়েছেন খোদ কেন্দ্রীয় অর্থ দফতরের প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। এর পাশাপাশি খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধি কপালে ভাঁজ ফেলেছে মোদী সরকারের। শুধু ডিসেম্বরেই শাক সবজির মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে ৬০%।