ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যা ৩৮, আদালতে স্বীকার করল রাজ্য
আদালতের কাছে পরিসংখ্যান পেশ করে সরকারি আইনজীবী জানান, ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে জ্বরে মোট ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৫ জনের ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। বাকিদের মৃত্যু ডেঙ্গিতেই কি না তা নিশ্চিত নয়। তবে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মৃতের সংখ্যা ছিল ১৯। ৭ দিনে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩-এ। এর ফলে, সরকারি তথ্য অনুসারে রাজ্যে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৮।
নিজস্ব প্রতিনিধি : ডেঙ্গি মামলায় ফের সরকারকে তোপ কলকাতা হাইকোর্টের। সরকারি তথ্যে খুশি নয় আদালত, বৃহস্পতিবার একথা সাফ জানিয়ে দিলেন বিচারপতি অরিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়। আদালতের ভর্তসনার মুখে এদিন রাজ্য স্বীকার করেছে ডেঙ্গিতে এখনো পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা অন্তত ৩৮। গত সোমবার মৃতের সংখ্যা ১৯ বলে দাবি করেছিল সরকার।
ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যা নিয়ে আদালতে পেশ করা হলফনামায় ধোঁয়াশা রয়েছে বলে মঙ্গলবারই জানিয়েছিল আদালত। নির্দেশ দিয়েছিল সাম্প্রতিকতম রিপোর্ট পেশের। রাজ্যের রিপোর্টে কেনও শুধু সরকারি হাসপাতালে মৃত্যুর তথ্য দেওয়া হয়েছে তা নিয়েও সেদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন- মশারির ভিতর বিধানসভা! ডেঙ্গি ইস্যুতে পরিকল্পনা বিরোধীদের
বৃহস্পতিবার সরকারি আইনজীবী বলেন, ''বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-এর নির্দেশিকা মেনে এলাইজা টেস্টের মাধ্যমেই ডেঙ্গি নিশ্চিত করা হচ্ছে।'' তিনি আরও বলেন, ''ডেঙ্গিতে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে তাঁদের আদৌ এলাইজা টেস্ট হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা যায়নি।'' তখনই বিচারপতি অরিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''ডেঙ্গি বর্তমানে সামাজিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে। ডেঙ্গিতে কত জনের মৃত্যু হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। ডেঙ্গি মোকাবিলায় কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা ভাবতে হবে। বেসরকারি হাসপাতালে এলাইজা টেস্ট হচ্ছে কি না, সেবিষয়ে নজরদারি কোথায়?'' তিনি বলেন, ''সরকারি তথ্যে সন্তুষ্ট নয় আদালত।''
জবাবে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, ''বিষয়টা বড় করে দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে। ডেঙ্গি নতুন কিছু নয়। এটি বিশ্বজুড়ে এক বড় সমস্যা। সেই সঙ্গে ডেঙ্গি নিয়ে আদালতে নতুন তথ্যও রাজ্যের তরফে দেওয়া হয়েছে।''
এদিন আদালতের কাছে পরিসংখ্যান পেশ করে সরকারি আইনজীবী জানান, ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে জ্বরে মোট ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৫ জনের ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। বাকিদের মৃত্যু ডেঙ্গিতেই কি না তা নিশ্চিত নয়। তবে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মৃতের সংখ্যা ছিল ১৯। ৭ দিনে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩-এ। এর ফলে, সরকারি তথ্য অনুসারে রাজ্যে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৮।