নিজস্ব প্রতিবেদন : শিল্পোদ্যোগীদের পাশে মুখ্যমন্ত্রী। শিল্পে উৎসাহ দিতে শিল্পপতি থেকে ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কমানো হল ফায়ার লাইসেন্স ফি। একধাক্কায় ৯২ শতাংশ কমানো হল এই লাইসেন্স ফি। এরফলে শপিং মল থেকে হাসপাতাল, সর্বত্র কমে গেল ফায়ার লাইসেন্স ফি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


নতুন আবাসন তৈরি করাই হোক বা নতুন কোনও ব্যবসা, কিংবা নতুন হোটেল, হাসপাতাল খুলতে গেলে প্রত্যেককে এই ফায়ার লাইসেন্স নিতে হয়। এখন এতদিন খুব বেশি ছিল এই লাইসেন্স ফি-র টাকা। এই নিয়ে বার বারই বিভিন্ন মহল থেকে অনুযোগের মুখে পড়তে হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। প্রশাসনিক বৈঠক থেকে শিল্প সম্মেলন, বার বারই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই ফায়ার লাইসেন্স কমানোর দাবি এসেছে। শিল্পপতি থেকে নার্সিংহোম মালিক, সবারই এক বক্তব্য ছিল যে, এই ফি কমানো হোক। ফি অত্যধিক বেশি।


অবশেষে আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে ফায়ার লাইসেন্স ফি কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী নিজে এই ফি কমানোর পক্ষে সওয়াল করেন। কী কারণে কেন এত টাকা লাইসেন্স ফি দিতে হবে? মন্ত্রিসভার বৈঠকে নিজেই সেই প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। শিল্পে উৎসাহ দিতে শেষে এই ফি একধাক্কায় ৯২ শতাংশ কমানোর পথে হাঁটল রাজ্য সরকার। এরফলে ছোট ব্যবসায়ীরা বেশি উপকৃত হবেন বলে আশা। বিপুল পরিমাণ লাইসেন্স ফি দিতে সমস্যা হওয়ায়, তাঁদের থেকে অভিযোগও আসত বেশি। পাশাপাশি, উপকৃত হবেন আবাসন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরাও। প্রসঙ্গত, অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রের সঙ্গে এই মুহূর্তে বেশ খানিকটা মন্দা চলছে আবাসন শিল্পেও।


এখন চলুন দেখে নেওয়া যাক, কোথায় কত হল এই লাইসেন্স ফি-


১) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, লাইব্রেরি, আর্ট গ্যালারির ক্ষেত্রে প্রতি বর্গ মিটার ৫৩ টাকা ৮ পয়সা করে ফি ছিল। এখন হল ৪টাকা প্রতি বর্গ মিটার।


২) হাসপাতাল, নার্সিংহোমের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গ মিটার ৮০ টাকা ৭ পয়সা ফি কমে হল ৮ টাকা ৭ পয়সা।


৩) শপিং মল, বিমানবন্দর, বন্দরের ক্ষেত্রেও ১০৭ টা ৬০ পয়সা প্রতি বর্গ মিটারের ফি কমে এখন দাঁড়াল ৮ টাকা ৭ পয়সা।


৪) বড় কারখানার ক্ষেত্রে আগে ফি দিতে হত প্রতি বর্গ মিটার ১৬১ টাকা ৪০ পয়সা হিসেবে। এখন সেটা কমে হল ১৪ টাকা ৫ পয়সা প্রতি বর্গ মিটার।


আরও পড়ুন, ষষ্ঠ পে কমিশনের সুপারিশে শিলমোহর, দ্বিগুণ হল রাজ্য সরকারি কর্মীদের গ্র্যাচুইটির অঙ্ক