শবরদের জীবনধারনের মানোন্নয়নে একগুচ্ছ ঘোষণা রাজ্য সরকারের
জ্যের আদিবাসীদের উন্নয়নে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে।
সুতপা সেন
জঙ্গলমহলে সাত শবরের অনহারে মৃত্যুর অভিযোগ কেন্দ্র করে ছড়িয়েছিল চাঞ্চল্য। ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার প্রেস বিবৃতি দিয়ে সবর, টোটোর মতো আধিবাসীদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে একাধিক পদক্ষেপ করছে রাজ্য সরকার। পাকা বাড়ি থেকে ভর্তুকিযুক্ত ঋণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি লালগড়ের পূর্ণপানি গ্রামে সাত জন শবরের মৃত্যু হয়েছে। অনাহার ও অপুষ্টির জেরে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এনিয়ে শোরগোল শুরু করে বিরোধীরা। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, জঙ্গলমহলে দুটাকা কিলো দরে চাল পৌঁছে দেওয়া হয়। শবরদের কাছে রেশন কার্ড ছিল। পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে অতিরিক্ত মদ্যপানে। দুজন মারা গিয়েছেন বার্ধক্যজনিত কারণে। সোমবার ঝাড়গ্রামে গিয়ে আরও একবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, অনাহারে রাজ্যে কারও মৃত্যু হয়েছে, এমন কথা বিশ্বাস করেন না তিনি। পরে জঙ্গলমহলে সরকারি সভায় তিনি বলেছিলেন, ''একশো শতাংশ মানুষ ২ টাকা কিলোর চাল পায়। মাসে মাথাপিছু ৮ কেজি চাল ও ৩ কেজি গম দেওয়া ব্যবস্থা করেছে সরকার। পরিবারে পাঁচজন সদস্য থাকলে ৫৫ কেজি চাল-গম পান। তারপরও কেউ যদি বলে বেচারা ভাত খেতে পাইনি, এটা বিশ্বাস করি না''।
তবে ওই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। রাজ্যের আদিবাসীদের উন্নয়নে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। এবার তাদের বাংলা আবাস যোজনায় দেওয়া হবে পাকা বাড়ি। পুরনো বাড়ির সংস্কার করে দেওয়া হবে। আদিবাসী এলাকায় পানীয় জলের ব্যবস্থা করবে প্রশাসন। এর পাশাপাশি মুরগি প্রতিপালন, পশুপালন ও চাষবাসে সহযোগিতা করা হবে। এরইসঙ্গে ব্যবসায় উত্সাহ দিতে ভর্তুকিযুক্ত ঋণ দেবে রাজ্য সরকার।
২০১৮-১৯ অর্থাত্ চলতি অর্থ বর্ষে আদিবাসীদের উন্নয়নে ১২.৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলেও মনে করিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। নবান্নের ধারনা, নতুন পদক্ষেপের জেরে আদিবাসীদের জীবনযাপন উন্নত হবে।
আরও পড়ুন- ব্যক্তিগত কম্পিউটারে গোয়েন্দা নজরদারি নির্দেশিকার প্রত্যাহারের দাবি মমতার