ওয়েব ডেস্ক: জোট নিয়ে শনিবার রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর বৈঠকে তোলপাড় হয়েছে। তোপের মুখে পড়েছেন পলিটব্যুরো নেতা। রবিবার রাজ্য কমিটির বৈঠকেও সেই আগ্রাসনেরই অ্যাকশন রিপ্লে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জোট কেন?
ঝাঁঝালো সুরে সেই যুক্তি পেশ করেছে বঙ্গব্রিগেড। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতেও যে তাঁরা কংগ্রেসকেই পাশে চান, তাও বলতে দ্বিধা করেননি। তাঁদের বক্তব্যের নির্যাস কী?


কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে কোনও ভুল রাজ্য সিপিএম করেনি। পরিস্থিতির বিচারেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পার্টি লাইন অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু পরিস্থিতির বিচারে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না এমন কথা কোথাও বলা নেই।



দিল্লিতে বসে রিমোট কন্ট্রোলে রাজ্য কমিটি চালানো যায় না। পরিস্থিতির নিরিখে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। পশ্চিমবঙ্গের মতো অবস্থা কেরল বা ত্রিপুরায় নেই। যদি এতই আপত্তি থাকত, তাহলে কেন্দ্রীয় কমিটি গোড়াতেই নিষেধ করল না?



রাজ্য নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন মইনুল হাসান।  তিনি বলেন, জোট নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্যবাসীকে অপমান করছে পলিটব্যুরো। দুকোটি পনেরো লক্ষ মানুষ জোটকে ভোট দিয়েছেন। তাঁরা কি ভুল করেছেন?


শমীক লাহিড়ি বলেন, পার্টির লাইন কখনও বেদবাক্য হতে পারে না। পরিস্থিতি বিচার না করে একতরফা সিদ্ধান্ত নিলে বিপর্যয় হবে।



জোট করায় পার্টি লাইন অগ্রাহ্য হয়েছে। একথা বলতে গিয়ে ইতিমধ্যেই তোপের মুখে পড়েছেন কারাটরা। রবিবার রাজ্য কমিটির বৈঠকেও তাঁরাই নিশানায়। বর্ধমান, কলকাতা এবং জলপাইগুড়ি ছাড়া সব জেলার নেতারাই একসুরে জোটের পক্ষে সোচ্চার হয়েছেন।  বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে,  FDI কিংবা সাম্রাজ্যবাদ ইস্যুতে একাই বিরোধিতা করবে বামেরা।



সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতা ইস্যুতে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটবদ্ধ আন্দোলন চলবে। বিধানসভাতেও কংগ্রেসের সঙ্গে ফ্লোর ম্যানেজমেন্ট করেই চলা হবে।জোট করেও ভোটে ভাল ফল হয়নি। কিন্তু, নতুন করে যে বামেরা লড়াইয়ের ময়দানে ফিরেছিল সেই ছবিটাও স্পষ্ট।


পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল বামেরা


রাজ্য কমিটির এখন দাবি, পার্টি লাইন নিয়ে অনর্থক প্রশ্ন তোলা বন্ধ করুক পলিটব্যুরো। বরং কীভাবে জেলায় জেলায় পার্টির প্রাসঙ্গিকতা ফেরানো যায়, সেই উপায় ভেবে বের করুক।