ওয়েব ডেস্ক: ২ সেপ্টেম্বর ধর্মঘট রুখতে আরও কড়া রাজ্য সরকার। এবিষয়ে সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বনধের আগের ও পরের দিন কোনও ছুটি মঞ্জুর হবে না। সেক্ষেত্রে ১ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার এবং ৫ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন সোমবার ছুটি নিলে শুধু বেতন কাটাই নয়, ছেদ পড়বে কর্মজীবনেও।  
২০১১সালে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সব বনধেই বেতন কাটা এবং কর্মজীবনে ছেদের নির্দেশিকা জারি হয়েছে। এর বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে স্যাট অর্থাত স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালে যায় বিরোধীরা। স্যাট জানায়, বনধ অসাংবিধানিক। অর্থাত যে কোনও বনধে অনুপস্থিত থাকলে ছুটি কাটতে পারবে সরকার।  
তবে এবার বনধ আটকাতে আরও কড়া রাস্তায় হাঁটল রাজ্য। এর আগে, বনধের দিনের আগে থেকেই লম্বা ছুটি নিয়ে নিতেন অনেকেই। সেই বিষয়টি আটকাতে এবার আরও তত্‍পর নবান্ন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার নবান্নর তরফে এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সমস্ত সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত অফিস খোলা থাকবে। কর্মীদের ওইদিন হাজিরা দিতে হবে। বনধের আগের দিন অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর এবং বনধের পরবর্তী কাজের দিন ৫ সেপ্টেম্বর ছুটি গ্রাহ্য করা হবে না। 


একইসঙ্গে উপযুক্ত কারণ ছাড়া ওই দিনগুলিতে অনুপস্থিত থাকলে বেতন কাটা তো বটেই, চাকরি জীবনে ছেদ পড়বে বলেও নির্দেশ জারি করেছে নবান্ন। তবে কতগুলি নির্দিষ্ট কারণ থাকলে ওই দিন অনুপস্থিতি গ্রাহ্য করা হবে। কারণগুলি হল-


*কোনও কর্মী হাসপাতালে ভর্তি হলে।
*আগে থেকেই যিনি অসুস্থতার জন্য অনুপস্থিত।
*যাঁরা এই নির্দেশিকা জারির আগেই সন্তানের পরিচর্যার জন্য ছুটি, মাতৃত্বকালীন ছুটি, এবং মেডিক্যাল লিভে রয়েছেন।
এগুলি ছাড়াও অন্য কোনও কারণে আসতে না পারলে সেক্ষেত্রে সঠিক কারণ এবং তার প্রামাণ্য নথি জমা দিতে হবে।
  
বনধ নিয়ে রাজ্য সরকারের কড়া মনোভাব গোপন করেননি মুখ্যমন্ত্রীও। তাঁর মন্তব্য কোনও বনধই সমর্থনযোগ্য নয়। জনজীবন সচল রাখতে কোনও ক্ষতি হলে তার ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। তবে ২ সেপ্টেম্বরের বনধকে সর্বাত্মক করতে মরিয়া শ্রমিক সংগঠনগুলিও। ফলে বনধকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে সংঘাতের আবহাওয়া।