কলকাতা: "কখনও ট্যাক্সি বনধ। কখনও বাংলা বনধ। আমি আপনাদের মারব না, এটা আমাদের কাজ নয়। দাঙ্গা করে আন্দোলন হয়না। বাংলার মানুষ বনধ সমর্থন করবে না", কড়া ভাষায় ২ সেপ্টেম্বর বামদের সাড়া ভারত বনধের ডাককে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা জবাবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, "সেদিনই দেখতে পাবেন, মানুষ কি চায়"। ২৮ অগাস্ট, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপনে এসে তিনি বাম জামানার কড়া নিন্দা করে বলেন, "ইট, বোমা নিয়ে যে রাজনীতি করে, মিছিল করে, আমি সেই রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। ৩৪ বছর সময় পেয়েছেন। কী করেছেন? ৭টা মেডিক্যাল কলেজ হয়েছে, আইটিআই হয়েছে। যা পরেননি তা স্বীকার করুন, একটু লজ্জা করুন। লরি বোঝাই করে পাথর নিয়ে এসছেন। কেন ৩৪ বছর ছেলে মেয়েদের চাকরি দেননি? একটা এফআইআর করতে দেননি"।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তাঁর বক্তৃতায় উঠে আসে সিঙ্গুর আন্দোলনের কথাও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,"চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন? খুনের রাজনীতি বিশ্বাস করি না। রাত্রি ১টায় মেরে উঠিয়ে দিয়েছিলেন। নিজের জীবন দিয়ে ২৬ দিন না খেয়ে অনশন করেছিলাম"। সিপিআইএমকে কটাক্ষ করতে গিয়ে তাঁর মুখে শোনা যায় বালিকান্ডের কোথাও। বালির ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, " কখনও শুনেছেন টয়লেটে কেউ টাকা রাখে? কমটে টাকা রাখে? বাড়ির পাইপে টাকা। কোথায় কোথায় টাকা রাখেনি। এদের বাড়ি ঘর গুলি খোঁদাই করে দেখলে, দেখা যাবে টাকা গুলি পাথর হয়ে গেছে"।


ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবসে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন ঝাঁঝালো বক্তৃতার কারণ কি? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, ভোট এগিয়ে আসছে, রাজ্যের নানান ঘটনায় ব্যাকফুটে রাজ্য সরকার। পথে নেমেছে বিরোধীরা। রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ জমি শক্ত করছে বামেরা। জলপাইগুড়িতে অশোক ভট্টাচার্য্যদের নেতৃত্বে তৃণমূলকে আটকে দিয়েছে বিরোধীরা। কংগ্রেসের ডাকা বনধও জেলায় জেলায় সফল। নবান্ন অভিযানে কার্যত চ্যালেঞ্জের মুখে পুলিস। এমন অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কপালে চিন্তার ভাঁজ। তাই এবার সম্মুখ সমরে শাসক-বিরোধী।