মোটা টাকার বদলে কলেজে ভর্তি করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল টিএমসিপি নেতা।  দাবি মতো পুরো টাকা দিতে পারেনি মেয়েটি। আটকে রাখা হয়ছিল মার্কশিট। অভিযোগ সেই চাপেই আত্মহত্যা করে সোনিয়া মণ্ডল। কাঠগড়ায় সুরেন্দ্রনাথ কলেজের তৃণমূল ছাত্রপরিষদ নেতা সুমিত ঘোষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২১ জুলাই, ২০১৫
আত্মঘাতী সোনিয়া মণ্ডল


সোনারপুরের সোনিয়া মণ্ডলের আত্মহত্যার জন্য সুরেন্দ্রনাথ কলেজের টিএমসিপি নেতা সুমিত ঘোষকেই কাঠগড়ায় তুলেছে পরিবার। টাকা নিয়ে ভর্তি আর পুরো টাকা না দিতে পারায় তৃণমূল ছাত্র নেতা সুমিত ঘোষ যে মার্কশিট আটকে রেখেছিল তা পরিষ্কার সনিয়ার মৃত্যুর পরে তার দাদার সঙ্গে সুমিত ঘোষের কথোপকথনে।


ছাত্রীর দাদা: আজকে তুমি এলে না কেন দাদা?
সুমিত: আজকে কলেজ ছুটি ভাই। আমি কোথা থেকে যাব...এই সবে ঘুম থেকে উঠলাম।
ছাত্রীর দাদা: তুমি কি শুধু মার্কশিটটা দেবে? না টাকাও দেবে?
সুমিত: অ্যাঁ...
ছাত্রীর দাদা:ওরা জিজ্ঞেস করছিল তুমি কি শুধু মার্কশিটটা দেবে? না টাকাও দেবে?
সুমিত: আরে ভাই ভর্তিতো করে ফেলছি, ভর্তি হয়ে গিয়েছে, ভর্তির স্লিপ ওকে আমি দিয়ে দিয়েছি।
ছাত্রীর দাদা: তুমিতো আরও ৫০০০ পেতে?
সুমিত: আরে ভর্তির স্লিপ তো দিয়েই দিয়েছি।
-----
খবর ছড়িয়ে পরতেই বৃহস্পতিবার  হঠাত্ সুরেন্দ্রনাথ কলেজের সামনে হাজির টিএমসিপি রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্র। তিনি অবশ্য এড়িয়ে যাচ্ছেন সব দায়ই। প্রশ্ন উঠছে সুমিত যদি প্রাক্তন ছাত্রই হয় তাহলে কী করে কলেজে এক ছাত্রীকে ভর্তি করিয়ে দিল সে?  শুধু সুরেন্দ্রনাথই নয় ,কলেজে কলেজে  টাকার বিনিময় ছাত্র ভর্তিকরানোর অভিযোগ উঠছে টিএমসিপি-র বিরুদ্ধে।


ছাত্র-অভিবাবক থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ভয়ে মুখ খুলছেন না কেউই।  বিনা বাধায় কলেজে ভর্তি নিয়ে চলছে টাকা খেলা। শিক্ষামন্ত্রী দাবি করেছিলেন অনলাইনে ভর্তির ব্যবস্থা করে এই টাকার খেলা বন্ধ করবেন। কিন্তু কোথায় কী?   সোনিয়ার মৃত্যু চোখে আঙুল  দিয়ে দেখিয়ে পরিস্থিতি যে তিমিরে ছিল, এখনও সেখানেই।