কলকাতা: বিতর্ক পিছু ছাড়ছেনা তার। তিনি যাদবপুরের ভিসি অভিজিত চক্রবর্তী। এবার বিদ্যাসাগর কলেজের অনুষ্ঠানেও অবাঞ্ছিত বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন তিনি। বিদ্যাসাগর কলেজের শুক্রবারের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান স্মরণীয় হয়ে থাকবে কর্তৃপক্ষের প্রবল অস্বস্তির জন্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অভিজিত চক্রবর্তী। প্রথমেই ছন্দপতন। ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে গরহাজির শিক্ষামন্ত্রী। হলে কানাঘুষো, যাদবপুরের উপাচার্যের সঙ্গে একই মঞ্চ শেয়ার করার অস্বস্তি এড়াতেই কি এলেন না পার্থবাবু ? মাত্র পাঁচ মিনিট থেকেই তড়িঘড়ি ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে গেলেন সুরঞ্জন দাসও। জল্পনা আরও বাড়লো, অভিজিতবাবুর সঙ্গ এড়াতেই কি সুরঞ্জনবাবুরও প্রস্থান?
কর্তৃপক্ষের অস্বস্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌছল  মূল পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে। কলেজের ১৭ জন কৃতি ছাত্রছাত্রী ছিলেন পুরস্কার প্রাপকের তালিকায়। বিতর্কিত উপাচার্য অভিজিত চক্রবর্তীর হাত থেকে পুরস্কার নিলেন মাত্র ২ জন। বাকি ১৫ জনই রইলেন অনুপস্থিত। তাহলে কি যাদবপুরের মতই এবার উপাচার্য বয়কটের পথে হাঁটল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যাসাগর কলেজের ছাত্ররা?


অনুষ্ঠানের প্রথম দিকে মঞ্চে সাবলীল ভাবে বক্তৃতা দিলেও, পুরস্কার বিতরনী পর্বে একের পর এক গরহাজিরায় দৃশ্যতই অস্বস্তিতে পড়েন অভিজিতবাবু। যাদবপুর বা অন্য কোনও প্রশ্নের উত্তরে মুখে হাত রেখে বেরিয়ে যান তিনি।


কেন পুরস্কার নিতে এলেন না ছাত্রছাত্রীরা। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টায় কলেজ কর্তৃপক্ষ।


সম্প্রতি বিতর্ক আর অভিজিত চক্রবর্তী সমার্থক। সেই বিতর্কে নয়া ইন্ধন যোগালো বিদ্যাসাগর কলেজের অনুষ্ঠান। মনে করছে শিক্ষা মহল।