Kolkata Student Death:এমআরআই করাতে এসে মর্মান্তিক ঘটনা, শহরের বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু লেডি ব্রেবোর্নের ছাত্রীর
Kolkata Student Death: পরিবারের দাবি, এমআরআই করার পরই শ্রীপর্ণার খিঁচুনি হতে থাকে। ধীরে ধীরে অবস্থার অবনিত হতে থাকে। আরও গুরুতর অভিযোগ হল শ্রীপর্ণার পরিস্থিতি খখন খারাপ হতে থাকে তখন শেখানো কোনও চিকিত্সক ছিলেন না
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: এমআরআই করাতে এসে ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। কলকাতার একটি নামী বেসরকারি হাসপাতালে প্রাণ হারালেন এক তরতাজা ছাত্রী। মৃত ওই কলেজ ছাত্রীর নাম শ্রীপর্ণা দত্ত(২০)। হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলছে ছাত্রীর পরিবার। থানাতেও গেল জানাল পরিবার।
আরও পড়ুন-চলন্ত বাইকের পেছনে বসা স্ত্রীকে গুলি করে খুন দুষ্কৃতীদের, স্বামীকে জেরা করতেই পর্দাফাঁস রহস্যের
পার্ক সার্কাসের লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের পদার্থ বিদ্যা অনার্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। মাঝে মাঝেমধ্যেই হাতে পায়ে কাঁপুনি হচ্ছিল। সেই জন্যই আজ তাঁর মা-বাবা শ্রীপর্ণাকে নিয়ে আসেন মল্লিকাবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালের আউট ডোরে। সেখানে আনার পর এক চিকিত্সক তাঁকে দেখেন। তিনি ওই ছাত্রীকে এমআরআই করার পরামর্শ দেন। সেই এমআরআই করতে গিয়েই এই বিপত্তি বলে দাবি পরিবারের।
শ্রীপর্ণার দিদি বলেন, এমআরআই করাতে গিয়ে তো কেউ মারা যেতে পারে না। কী এমন হল যে এমনটা হয়ে গেল। মা বলছিল, বোনকে নিয়ে নাকি ওরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। বিভিন্ন জনকে ফোন করছিল। কী যে ওরা করছিল বোঝা যায়নি। কোনও ডাক্তারকে দেখিনি। যখন বলল সিরিয়াস অবস্থা তখন স্টাফদেরই দেখেছিলাম। ওরা ছোটাছুটি করছিল। ওদের জামায় রক্তের দাগ লেগেছিল। ওর চ্যানেলটা মনে হয় খুলে গিয়েছিল। কিছুক্ষণ পরে দেখছি ওর বুকে পাম্প করছে।
ওইসবের মধ্যে একজন বয়স্ক ভদ্রলোক ও এক মহিলা এলেন। জিজ্ঞাসা করলেন ওর কি কোনও খিঁচুনি ছিল? শ্রীপর্ণার মা জানান, এমন কোনও সমস্যাই ছিল না। শুধউ হাতটা একটু কাঁপত, মাথাটা একটু ঘুরছে বলত শ্রীপর্ণা। এর বাইরে আর কিছু নয়। এখানে এমআরআই করার পর বারবার ওরা বলছিল আইসিইউতে রাখা রয়েছে। বারবার আমি জিজ্ঞসা করছিলাম, কেমন আছে। ওরা বারবারই বলছিল ডাক্তাররা দেখছে। অনেক পর জানাল, ও আর নেই।
পরিবারের দাবি, এমআরআই করার পরই শ্রীপর্ণার খিঁচুনি হতে থাকে। ধীরে ধীরে অবস্থার অবনিত হতে থাকে। আরও গুরুতর অভিযোগ হল শ্রীপর্ণার পরিস্থিতি খখন খারাপ হতে থাকে তখন শেখানো কোনও চিকিত্সক ছিলেন না। ওপিডি থেকে শ্রীপর্ণাকে হাসপাতালে আনা হয়। ভর্তি করা হয় ক্রিটিক্যাল কেয়ারে। ভেন্টিলেশনেও রাখা হয়।
হাসপাতালের দাবি, এমআরআই করানোর সময়ে শ্রীপর্ণার খিঁচুনি শুরু হয়। সিপিআরও দেওয়া হয়। বাঁচানোর অনেক চেষ্টাই করা হয়েছে।
শ্রীপর্ণাদের বাড়ি আসানসোলে। পড়াশোনার জন্য গোটা পরিবার কলকাতায় চলে আসে। লেডি ব্রেবোর্নে ভর্তি হন শ্রীপর্ণা। ফিজিক্সের ছাত্রী হওয়ার কারণে প্রাকটিক্যাল করতে গিয়ে বেশকিছু সমস্যা হচ্ছিল তার। সেই কারণেই আজ শ্রীপর্ণা চিকিত্সকের কাছে আসেন। পরিবারের দাবি, চিকিত্সকের সঙ্গে কথা বলতে দেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।