জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো:  পড়ুয়ার পরিবারের তরফে 'বিস্ফোরক অভিযোগের' পর চাকরি খোয়ালেন এক প্রফেসর৷ পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, ওই প্রফেসরের খোলামেলা বিকিনি পরা ছবি দেখত তাঁদের ছেলে। ওইসব ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন কলকাতার নামী কলেজের এক শিক্ষিকা। দ্য ওয়ার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স ইউনিভার্সিটির একজন প্রাক্তন সহকারী অধ্যাপক অভিযোগ করেছেন যে, ওই পড়ুয়ার পরিবারের অভিযোগের পর তিনি চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন। ঘটনাটি ২০২১ এর৷ ওই প্রফেসরের বিরুদ্ধে সেই সময়ই অভিযোগ করেছিলেন পড়ুয়ার পরিবারের৷ প্রফেসরের মতে কীভাবে ওই ছবি পড়ুয়ার কাছে এল তা তাঁরও অজানা। সেই চিঠিটি সোশাল মিডিয়ায় শেয়ারও হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Newtown: নিউটাউনে যুবকের রহস্যমৃত্যু! রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য


সেখানে লেখা রয়েছে যে, "সম্প্রতি আমার ছেলেকে প্রফেসরের কিছু খোলামেলা ছবি দেখতে দেখে আমি অবাক হয়েছি। শরীরে যৌন আবেদন রয়েছে,  ইচ্ছাকৃতভাবে সেই ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছন ওই প্রফেসর। অন্তর্বাস পরিহিত এক শিক্ষকের সেই ছবি দেখা অভিভাবক হিসেবে আমার জন্য লজ্জাজনক। এই ধরনের অশ্লীল ছবি দেখা থেকে ছেলেকে বিরত রাখতে আমি যেমন সচেষ্ট তেমন প্রফেসর হিসেবে এই কাজ করাটাও অনুচিত।"



কেবলমাত্র বিকিনি পরার দায়ে চাকরি গেল কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপিকার। এমনই অভিযোগ করলেন কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তন অধ্যাপিকার। তাঁর দাবি, তিনি বিকিনি পরে একাধিক ছবি পোস্ট করেছিলেন ইনস্টাগ্রামে। জানা গিয়েছে, স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার বাবা অভিযোগের ভিত্তিতেই ইংরাজি বিভাগের ওই অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে। অভিযোগ, অধ্যাপিকা বিকিনি পরে যে সব ছবি দিয়েছেন ইনস্টাগ্রামে, সেই ছবিগুলিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ছেলে অনেক ক্ষণ ধরে দেখছিল। মায়ের চোখে পড়ে যায়। তারপরেই  অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ জানান তারা। 


জতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক বক্তব্যে  কলকাতা সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপিকা জানান, কলেজের ফার্স্ট ইয়ারের এক ছাত্রের অভিভাবকের থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে তাঁকে চূড়ান্ত নির্দেশ দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। ওই চিঠিতে সংশ্লিষ্ট অভিভাবক, 'নগ্নতা ও যৌনতা, দৃশ্যদূষণ ইত্যাদি শব্দবন্ধগুলি ব্যবহার করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই অভিযোগ পত্রটি ভাইরাল হয়েছে। অভিযোগ অধ্যাপিকার কোনও কথাই শুনতে রাজি হননি সেন্ট জেভিয়ার্স কর্তৃপক্ষ। জানিয়ে দেওয়া হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যে আঘাত করেছেন তিনি। ইস্তফা দিতে তাঁকে চাপ দেওয়া হয়। এমনকী, কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চরিত্র হনন এবং হেনস্তার অভিযোগ করেছেন করেছেন ওই অধ্যাপিকা।


আরও পড়ুন, Partha Chatterjee, Bengal SSC Scam: জেলে বসেই সাহায্যের হাত বাড়ালেন পার্থ, ধরতে রাজি নন অর্পিতা!


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)