নিজস্ব প্রতিনিধি : মুকুল রায়ের পর এবার ছেলে শুভ্রাংশ রায়ের ওপর নজর রাখা শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার কলকাতায় বিজেপির সভার পাল্টা হিসেবে সোমবার রানি রাসমনি রোডে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভা। আর সেখানেই অন্যান্য বক্তাদের সঙ্গে তালিকায় রাখা হয়েছে শুভ্রাংশু রায়ের নামও। তাঁকে সেই কথা জানিয়ে দেওয়াও হয়েছে। আর যেহেতু যুব তৃণমূল কংগ্রেসের অনুষ্ঠান তাই নিয়মমাফিক শুভ্রাংশুকে সেখানে উপস্থিত থাকতেই হবে। তৃণমূলের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, এবার সেই সুযোগকেই কাজে লাগাতে চাইছে দল। সভায় শুভ্রাংশু হাজির থাকলে তাঁকে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে হাতিয়ার করা হবে বলে খবর তৃণমূল সূত্রে। তবে সোমবারের সমাবেশে যদি তিনি গড়হাজির থাকেন, তাহলে এবার থেকে তাঁর সঙ্গেও দূরত্ব বজায় রাখা শুরু করবে দল। তাই এবার কার্যত অগ্নিপরীক্ষার সামনে দাঁড়িয়ে শুভ্রাংশু।      


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দিন কয়েক আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন মুকুল রায়। আর তারপর থেকেই কার্যত প্রাক্তন দলের প্রতি একের পর এক বোমা ফাটাচ্ছেন একদা তৃণমূলের 'নাম্বর টু'। যোগ দেওয়ার পর শুক্রবার প্রথম বিজেপির হয়ে প্রকাশ্য জনসভায় বক্তব্য রাখেন মুকুল। আগে থেকেই বলেছিলেন, তাঁর কাছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কয়েকটি ফাইল রয়েছে। এবার সেই সমস্ত ফাইল এক এক করে প্রকাশ্যে আনবেন তিনি। শুক্রবারের সভায় তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে বিশ্ববাংলা থেকে ডেলো, চিটফান্ড থেকে বিরোধী রাজনীতি। একে একে আক্রমণ শানান তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। পাল্টা মুকুলের বিরুদ্ধে আইনি পথে যাওয়ারও হুমকি দিয়েছে তৃণমূল।


আরও পড়ুন- ‘সিনিয়রদের টপকে স্বরাষ্ট্রসচিব হয়েছেন অত্রি’, বিস্ফোরক মুকুল


এবার সেই 'দলছা়ডা' মুকুলের ঘরেই দেখা দিয়েছে নতুন সমস্যা। বাবা দল ছাড়লেও, এখনই 'দিদি'র(মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) ছত্রছায়া থেকে বেরিয়ে আসতে রাজি নন মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু রায়। মুকুল রায়ের দল ছাড়ার দিনও তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেসই তাঁর একমাত্র আদর্শ। তাঁদের কাঁচরাপাড়ার বাড়িতে আগে দলীয় কাজকর্ম করার জন্য বাবা ও ছেলের একটি ঘরই ছিল। কিন্তু, বাবা দল বদল করার সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে দুটি ঘর তৈরি হয়েছে। একটি তৃণমূলের কাজ নিয়ে বসেন ছেলে শুভ্রাংশু। অন্যটি বিজেপির মুকুল রায়ের।  


বাবা দল ছাড়ার পর বার বার মুখে বললেও, দলের প্রতি শুভ্রাংশুর আনুগত্য হাতে কলমে পরীক্ষিত নয়। তাই এই সভায় মুকুলের বিরুদ্ধে তাঁর বক্তব্যের ধারই তা প্রমাণ করবে। দলীয় সূত্রে খবর, তাঁকে পরীক্ষা করে নেওয়ার জন্যই এই কাজ করা হয়েছে।