অয়ন ঘোষাল: এবছর উচ্চমাধ্যমিকে সে প্রথম হয়েছে ঠিকই। কিন্তু পরীক্ষাটা ছিল বাবা-মায়েরও! তাঁদের লড়াইয়ের কথা জি ২৪ ঘণ্টাকে জানাল নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন ছাত্র শুভ্রাংশু সর্দার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উচ্চমাধ্যমিকেই  ইংরেজিতে অকৃতকার্য হয়েছিলেন তাপস সর্দার। পড়াশোনা আর এগোয়নি। সংসারের হাল ধরতে তিন চাকার পণ্যবাহী গাড়ি কেনেন তিনি। স্ত্রী শম্পা সেলাইয়ের কাজ করেন। তাঁদের ছেলে শুভ্রাংশুই এবার উচ্চমাধ্যমিক ফার্স্ট!


বাড়িতে একটাই ঘর। অনেক রাত পর্যন্ত টেবিল ল্যাম্পের আলোয় পড়াশোনা করত শুভ্রাংশু। কিন্তু আলোর মুখে ঘোরানো থাকত দেওয়ার দিকে, যাতে বাবা-মায়ের ঘুমের ব্যাঘাত না ঘটে। কারণ, সকালে উঠে সেলাইয়ের কাজ করবেন মা, আর বাবাও বেরিয়ে যাবেন কাজে। ছেলের সাফল্যে চোখের জল তাপস ও শম্পা দুজনেরই। 


আরও পড়ুন: Summer Camp: প্রিন্সটন ক্লাবে কচিকাচাদের নিয়ে মজার গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্প


লড়াইটা কতটা কষ্টকর ছিল? জি ২৪ ঘণ্টাকে শুভ্রাংশু বলল, 'প্যাশনেটলি কোনও কিছু করলে, কোনও কিছুতেই কষ্ট বলে মনে হয় না। রাতের সময়টাই সবচেয়ে ভালো ছিল পড়াশোনার জন্য। কারণ সকালে উঠে পড়তে আমার ভালো লাগত না'। সঙ্গে অকপট স্বীকারোক্তি, 'ছোটবেলা থেকে বাবা-মা যেরকম পরিশ্রম করতে দেখেছি। আমার হয়েছিল, নিজের জন্য না হোক, কিছু মানুষের জন্য এই খাটনি যদি করা যায়, তাহলে সত্যিই সেটা মূল্য় থাকে। বাবা-মা আমার সফল হওয়ার জন্য যা করেছেন, তা তো কোনওদিন ফিরিয়ে দিতে পারব না'।


যারা মাধ্যমিক দিয়েছিল অনলাইনে, তারা এবছর উচ্চমাধ্যমিক দিল খাতায়-কলমে। আর সেই পরীক্ষাতেই সবাইকে পিছনে ফেলে বাবা-মায়ের লড়াইতে সার্থক করল বছর আঠেরো শুভ্রাংশু।



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)