নিজস্ব প্রতিবেদন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবুল সুপ্রিয়কে ঘিরে ছাত্র বিক্ষোভের পাশে দাঁড়ালেন না সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। যাদবপুরের বিধায়ক বলেন, ''ছাত্ররা কালো পতাকা দেখাতে পারতেন। কিন্তু গায়ে হাত তোলাকে সমর্থন করি না। প্রতিবাদের একটা ধরন আছে। এমন আচরণ সমর্থনযোগ্য নয়।''        


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এবিভিপি-র একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তাঁকে ঘিরে 'গো ব্যাক' স্লোগান দেয় ছাত্রদের একাংশ। কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে চড়াও হয় পড়ুয়ারা। তাঁকে ধাক্কা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকি মাথার চুল ধরেও টানা হয়। । ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে যান বাবুল সুপ্রিয়। ছিঁড়ে যায় তাঁর জামার কলার। যাদবপুরের পড়ুয়াদের একাংশের এমন আচরণ সমর্থন করছেন না সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন,''দিলীপবাবুরা যখন গিয়েছিলেন যাদবপুর দখল করতে তখন ছাত্ররা প্রতিহত করেছিলেন। সেই স্পিরিট সমর্থনযোগ্য। একজন সেমিনারে গিয়েছিলেন, কালো পতাকা দেখানো যেত। কিন্তু গায়ে হাত দিয়ে হেনস্থা করলে তাঁকেই সুবিধা করে দেওয়া হয়। এমন আচরম সমর্থনযোগ্য নয়। প্রতিবাদের একটা ধরন আছে। এমন আচরণ সমর্থনযোগ্য নয়।''          



যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এবিভিপির অনুষ্ঠানে বাবুল সুপ্রিয়র উপস্থিতি নিয়ে বিক্ষোভের সূত্রপাত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। মারধর, এমনকি চুল টানা হয় বলে অভিযোগ বাবুল সুপ্রিয়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বাবুলের নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের উপরে লাঠিচার্জ করেছেন। জখম হয়েছেন এক ছাত্রী। সেই অভিযোগ নস্যাত্ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ''আমার নিরাপত্তারক্ষীরা লাঠি চালালে, এরা ছেড়ে দিত? বিরোধী না থাকলে কার সঙ্গে লড়বে? বাচ্চা ছেলে গালাগালি কেন দিচ্ছ? ওগুলো আমি জানি। শিক্ষিত ছেলে চুল ধরে টানছেন। সব ক্যামেরায় ধরা আছে। দিদির পুলিস হলে গুলি চলত।''  এক বিক্ষোভকারী দাবি করেন, তাঁদের এক সদস্য আহত। বাবুল তখন বলেন,''কে আহত হয়েছেন? ওই মেয়েটাকে নিয়ে এসো। তুমি আমাকে গালগাল দিতে পার না।''


আরও পড়ুন- মুখে বলেছেন আর্থিক দাবি, অথচ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক কেন? প্রশ্ন রাহুল সিনহা