Partha Chatterjee | ED: জেরায় `কালীঘাটের কাকু`-র মুখে পার্থর নাম, তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগ ইডি-র
ইডি বুঝতে পারে সন্তু নিয়েও তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আড়াল করার চেষ্টা করছেন তিনি। বেশ কিছু প্রমাণ সামনে রাখতেই সন্তু গাঙ্গুলির সঙ্গে নিজের যোগাযোগ নিয়ে নিরুত্তর হয়ে যান সুজয়। সুজয়ের বাজেয়াপ্ত হওয়া একাধিক মোবাইল ফোনে বিভিন্ন তথ্য ও কথোপকথন মুছে দিয়েছিলেন তিনি যা ইতিমধ্যেই উদ্ধার করত পেরেছেন তদন্তকারীরা।
বিক্রম দাস: গ্রেফতারের আগে জেরার মুখে ইডি-র একাধিক প্রশ্নে পার্থ চ্যাটার্জির নাম নিয়ে তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার অথবা তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। সন্তু গাঙ্গুলি ২৭ কোটি টাকা নেওয়ার প্রশ্নেও কালীঘাটের কাকু বিষয়টিকে পার্থ চ্যাটার্জির দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
এই ঘটনায় ইডি বুঝতে পারে সন্তু নিয়েও তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আড়াল করার চেষ্টা করছেন তিনি। বেশ কিছু প্রমাণ সামনে রাখতেই সন্তু গাঙ্গুলির সঙ্গে নিজের যোগাযোগ নিয়ে নিরুত্তর হয়ে যান সুজয়।
আরও পড়ুন: Sujay Krishna Bhadra: ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পরে গ্রেফতার 'কালীঘাটের কাকু', বুধবার পেশ আদালতে
সুজয়ের বাজেয়াপ্ত হওয়া একাধিক মোবাইল ফোনে বিভিন্ন তথ্য ও কথোপকথন মুছে দিয়েছিলেন তিনি যা ইতিমধ্যেই উদ্ধার করত পেরেছেন তদন্তকারীরা। এগুলি মঙ্গলবার তাঁর সামনে রেখেই জেরা করা হয় সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে।এরপরেইমেজাঝারান কালীঘাটের কাকু’। তিনি ইডি অফিসারদের উপরে কার্যত চোটপাট করতে শুরু করেন বলেও জানা যায়।
দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার কালীঘাটের কাকু সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। তদন্তে অসহযোগিতা, বয়ানে অসঙ্গতি, তথ্য গোপনের চেষ্টা, তদন্তকারী আধিকারিকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: 'কাকু হল, জেঠু হল, এবার হয়তো পিসির সময় আসছে'; ফের বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
ইডি সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় কালীঘাটের কাকুকে যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হয়েছে। একাধিকবার তাঁকে সঠিক উত্তর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তিনি উত্তর দেননি।
কুন্তল ঘোষের কাছে থেকে টাকা নিয়ে, সেই টাকা কোথায় পাঠাতেন? কার নির্দেশে চাকরি দুর্নীতির এজেন্টদের কাছ থেকে টাকা নিতেন তিনি? সেই প্রশ্নের উত্তর দেননি ‘কালীঘাটের কাকু’।
গত ২০ মে তাঁর বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চালিয়ে যে তিনটি কোম্পানির নথি পেয়েছে ইডি, তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। যে কোম্পানিগুলির অ্যাকাউন্টে প্রচুর কালো টাকা সাদা করা হয়েছে বলে দাবি ইডি। সেটা করেছেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। সেই নিয়েও কোনও উত্তর দেননি ‘কালীঘাটের কাকু’।