নিজস্ব প্রতিবেদন: সাংবাদিক বিনীত নারায়ণের ফেসবুক পোস্টকে হাতিয়ার করে রাজ্যপালকে বিঁধলেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক সুখেন্দু শেখর রায় (Sukhendu Sekhar Roy)। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান,'গতকাল রাজ্যপাল বলেছেন চার্জশিটে তাঁর নাম ছিল না। এটা অর্ধসত্য। জৈন ডায়েরির শেষ পাতায় জনৈক ধনখড়ের নামে পাশে ৫ অঙ্ক লেখা আছে। এই ধনখড়ই কি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল?'         


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


 এ দিন সুখেন্দু শেখর রায়  (Sukhendu Sekhar Roy) বলেন,'রাজ্যপাল দাবি করেছেন চার্জশিটে তাঁর নাম ছিল না। সবাই নাকি অব্যাহতি পেয়ে গিয়েছেন। সেই দাবি খারিজ করে সাংবাদিক বিনীত নারায়ণ ফেসবুকে জানিয়েছেন, মামলার কোনও শুনানিই হয়নি। ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছিল সিবিআই। সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে আইন ও বিচার ব্যবস্থার গোলকধাঁধার মধ্যে আটকে যায় এটি। তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বিনীত নারায়ণ। সুতরাং অব্যাহতি পাওয়ার প্রশ্নই নেই।' 


জৈন ডায়েরিতে ধনখড়ের নামোল্লেখ রয়েছে বলে দাবি করে ডায়েরির পাতার প্রতিলিপি তুলে ধরেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক। তিনি বলেন,' ১৯৯০ সালে বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন জনতা পার্টির সরকারে ২৩ এপ্রিল থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত জনৈক ধনখড় সংসদীয় বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। চন্দ্রশেখরের নেতৃত্বে জোট সরকারেও ১৯৯০ সালের নভেম্বর থেকে ১৯৯১ মে মাস পর্যন্ত রাজস্ব দফতরের প্রতিমন্ত্রী হন একই ব্যক্তি। রাজ্যপাল এবং ওই জগদীপ ধনখড় একই ব্যক্তি কিনা আমি বলতে পারব না। এটা আপনারাই রাজ্যপালকে জিজ্ঞেস করুন। কারণ আর একজন ধনখড়ের নাম জড়িয়ে গিয়েছে জৈন হাওয়ালাকাণ্ডে। জৈন ডায়েরির একটি পাতায় সর্বশেষ নাম 'ধনখড়'। নামের পাশে ৫ অঙ্ক লেখা। হাওয়ালা কেলেঙ্কারিতে বিভিন্ন দলের বহু রাজনৈতিক নেতার নাম উঠেছিল। লক্ষ লক্ষ টাকা উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে। সেই ধনখড় আর রাজ্যপাল একই ব্যক্তি কিনা আমি বলতে পারব না! আপনিই কি সেই ধনখড়? সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করতে পারেন।'


আরও পড়ুন- মৌচাকে ঢিল মেরেছেন মমতা, নৈতিক দায়ে ইস্তফা দিন ধনখড়, জৈন-কাণ্ড ফাঁসের হোতা Vineet