উসকানি দেওয়ার অভিযোগে ফিরহাদকে গ্রেফতারির দাবিতে মামলা কলকাতা হাইকোর্টে
`...এখানে মস্তানি করা ঠিক হয়নি। দম থাকে তো অমিত শাহ বাড়ির সামনে গিয়ে করুন। আপনাদের এসব কাজকর্মের ফলে ৭০ শতাংশ মানুষ অমিত শাহের পক্ষে হয়ে যাবে।``
নিজস্ব প্রতিবেদন : উসকানিমূলক মন্তব্য করছেন কলকাতার মেয়র। অবিলম্বে তাঁকে গ্রেফতার করা হোক। এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) বিরুদ্ধে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। সুমন ভট্টাচার্য নামে দমদমের এক বাসিন্দা এই মামলা দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ, "CAB কোনও আইন নয় বলে, মেয়র কীভাবে স্যোশাল সাইটে মন্তব্য করেন। এছাড়াও তিনি মিনি পাকিস্তান বলেও মন্তব্য করেছেন।" চলতি সপ্তাহেই মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে আদালত সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (Citizenship Amendment Act) প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে অশান্তি ছড়িয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়। ট্রেনে পাথর ছোড়া, ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া, বাস পুড়িয়ে দেওয়া, অবরোধ-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শুক্র, শনি, রবি পেরিয়ে আজ সোমবারও পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে স্বাভাবিক হয়নি। জায়গায় জায়গায় অবরোধ করছেন বিক্ষোভকারীরা। যার ফলে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষ থেকে নিত্যযাত্রীদের।
এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার প্রথম মুখ খোলেন কলকাতার মেয়র। ফিরহাদ হাকিম বলেন,''যারা এই ধরনের রাস্তা আটকাচ্ছে, তারা বিজেপির হাত শক্ত করছে। বাংলা সেকুলার জায়গা। এখানে মস্তানি করা ঠিক হয়নি। দম থাকে তো অমিত শাহ বাড়ির সামনে গিয়ে করুন।'' শুধু শুক্রবার নয়। শনিবার ফের কড়া বার্তা দেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বলেন,''এটা হিন্দু মুসলিমের লড়াই নয়। একটা সম্প্রদায়কে অরাজকতা করতে চাগাড় দেওয়া হচ্ছে। বিজেপির হাত শক্ত করছেন আপনারা। আপনাদের এসব কাজকর্মের ফলে ৭০ শতাংশ মানুষ অমিত শাহের পক্ষে হয়ে যাবে। রাজ্যে বিজেপি এসে গেলে মাথা নিচু করে থাকতে হবে। তখন আর রাস্তায় কেউ নামবে না।" গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলনের কথা বলেন ফিরহাদ হাকিম। বলেন, "বাংলায় এনআরসি করতে দেব না বলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনও কার্যকর হবে না।" মুখ্যমন্ত্রীর আন্দোলনে সামিল হওয়ার ডাক দেন মেয়র।
আরও পড়ুন, "বিজেপি বাইরে থেকে লোক ঢুকিয়ে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করবে, সাবধান"
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী হয়ে কীভাবে লোকসভায় পাস হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে সরব হতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? সাংবিধানিক পদে থেকে কীভাবে এটা করতে পারেন তিনি? এই মর্মে আজ আরও একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। মামলা দায়ের করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী সরজিৎ রায়চৌধুরী।