ওয়েব ডেস্ক : সকাল থেকেই সে তার আগমনী বার্তা জানান দিতে শুরু করেছে। শুরু হয়ে গেছে টিপ টিপ বৃষ্টি। জন্মের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি নামাল ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু। আজ রাতেই সে অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে পশ্চিমবঙ্গের উপর অবস্থান করবে। ফলে ব্যাপক ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে মৌসুমি বায়ুকে আটকে বর্ষার পথে কি বাধা হয়ে দাঁড়াবে রোয়ানু? সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না আবহবিদরা। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে হালকা, ভারী এবং অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শত্রুর আলখাল্লায় বন্ধুর কাজ, নাকি রোয়ানু শত্রুই? টিপটিপে এই বৃষ্টি অবশ্য বিশেষজ্ঞদের মনে জাগাচ্ছে সংশয়। প্রমাদ গুনছে হাওয়া অফিসও। ধ্বংসের স্বাভাবিক শক্তি নিয়ে ক্ষতি করতেই পারে ঘূর্ণিঝড়। এর উপর মৌসুমি বায়ুকে দেরি করিয়ে দেওয়ার জন্য যতটা সম্ভব শত্রুতাও রোয়ানু করতে পারে।


কেন এই আশঙ্কা ? আবহবিদরা বলছেন,


কেরলে বর্ষা ঢোকার স্বাভাবিক নির্ঘণ্ট ১ জুন। এই দিনক্ষণ পিছিয়ে গিয়েছে এক সপ্তাহ। কিন্তু রোয়ানুর প্রভাব সেই পরিবর্তিত নির্ঘণ্টও বজায় রাখতে দেবে কি না, তা নিয়েই সংশয়।  বাংলায় বর্ষা চলে আসে ৮ জুনের মধ্যে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের বাগড়ায় মৌসুমি বায়ুর পরিবর্তিত নির্ঘণ্টও বিগড়ে যেতে পারে বাংলার বর্ষামঙ্গলে।


রোয়ানু এখন কোথায়? উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করে


আবহবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অন্ধ্র-ওড়িশার উপকূলে অবস্থান করছে ঝড়টি। বিশাখাপত্তনম থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি। শুক্রবার রাতে এটি অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে অবস্থান করবে। শনিবার রাতে অথবা রবিবার সকালে বাংলাদেশের দিকে চলে যাবে রোয়ানু। কক্সবাজারে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ঘূর্ণিঝড়টির।


এই  ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে হালকা, ভারী এবং অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্ধ্রের অনেক জায়গাতেই রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। বিপর্যয় ঠেকাতে ব্যবস্থা নিয়েছে ওড়িশাও। দমকল, পুলিস ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ওড়িশায় সরকারি অফিসারদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। অন্ধ্র, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলগুলিতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।