নিজস্ব প্রতিবেদন: উৎসব নয়, মানুষের পুজো-- ৬৭ তম বর্ষে নিউ আলিপুর সুরুচি সংঘের থিম এ বার এটাই। আর সেই থিমের সঙ্গেই জুড়ে গেল কোভিড ভ্যাকসিন আসার আগাম আশ্বাসও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুজো উদ্যোক্তাদের সূত্রে জানা গেল, এই পুজোর ৭০ শতাংশ বাজেটই এ বার জন হিতার্থে ব্যয় করা হবে। বাকি ৩০ শতাংশ দিয়ে যথাসম্ভব বেশি কর্মসংস্থান করার চেষ্টা করা হয়েছে। 



নিঃসন্দেহে মানুষের পুজো। এই পরহিত-ভাবনার মধ্যে এমন একটা মানবতার মধুর ছায়া যে, করোনাকালে পুজোর বেমানান আবহের মধ্যেও সেখানে আপনা থেকে ঢুকে পড়েছে তরতাজা বাতাস, ছড়িয়ে পড়েছে সোনালি রোদ্দুর।


জানা গেল, এ বারে এমন উপকরণ দিয়ে মণ্ডপ গড়ে তোলা হয়েছে, যা স্থানীয় শিল্পী ও ডেকরেটর্সের দিয়েই তৈরি করে নেওয়া যায়। মণ্ডপ-এলাকাতেই বসে রঙিন কাপড় সেলাই করে বাঁশের গায়ে তা পরিয়েছেন সেই সব স্থানীয় শিল্পীরা। মাতৃমূর্তিও গড়ে নেওয়া হয়েছে নিজেদের চেষ্টায়। গড়েছেন স্থানীয় মহিলারা। লকডাউনে এলাকার যে সব মহিলার কাজ প্রায় ছিল না বললেই চলে, তাঁদেরকেই এই মাতৃমূর্তি নির্মাণে ডেকে নেওয়া হয়েছে। উৎসবের বদলে মানুষের পুজো-র এই রূপ-পরিকল্পনায় আছেন শিল্পী ভবতোষ সুতার। তিনিও বলছেন, 'এ বারে আমরা এমন ভাবে পুজোটার পরিকল্পনা করেছি, যাতে বেশি সংখ্যক এলাকাবাসীর সামনে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া যায়।' 



সুরুচির থিমের উদ্বোধন করেছেন অক্সফোর্ডের কোভিড ভ্যাকসিন আবিষ্কারের টিমের অন্যতম সদস্য কলকাতারই মেয়ে চন্দ্রাবলী দত্ত। কী বলছেন তিনি এই পুজো নিয়ে? চন্দ্রাবলী বলেন, 'এ বারের পুজোয় মাকে ভার্চুয়ালি দেখুন। একান্তই বেরোতে চাইলে অবশ্যই মাস্ক পরুন। আর তো ক'টা মাস। ভ্যাকসিন আসছে। আগামী বছরের জুলাই নাগাদই ভারতে বাণিজ্যিক ভাবে এর বিপণন শুরু হবে। ততদিন একটু কষ্ট করে চললে আমাদেরই ভাল।'


শুধু বড়রাই নয়, সুরুচির পুজো এ বার হাসি ফুটিয়েছে এলাকার শিশুদের মুখেও। তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে পুজোর নতুন জামা। প্রসঙ্গত, প্রতিবারের মতো এ বারও ঢাক বাজিয়ে থিমের সূচনায় পুজোর প্রধান কর্মকর্তা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।