শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: অসমে বরাক উপত্যকার অত্যন্ত কাছের মানুষ ছিলেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা সন্তোষমোহন দেব। জাতীয় রাজনীতিতে সাংগঠনিক দক্ষতার জোরেই হয়ে উঠেছিলেন ‘ট্রাবল-শ্যুটার’। তৃণমূলের প্রথমসারির নেতাদের সঙ্গেও ছিল নিবিড় যোগাযোগ। মেয়ে তখনও রাজনীতির সূত্রে বাংলায় আসেননি। রাজ্যসভার প্রার্থী মনোনীত হওয়ার পর এই প্রথম রাজ্য বিধানসভায় ঢুকলেন সুম্মিতা দেব। একদা বাবার সহকর্মী, শাসকদলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ করলেন, 'আমি কোনদিন আসিনি। একদিন বিধানসভা ঘুরে দেখাবেন'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজনীতির আঙ্গিনায় বাবার পথেই হেঁটেছিলেন সন্তোষমোহনের দেবের কন্যা। কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। অসমে শিলচর থেকে লোকসভার সাংসদও নির্বাচিত হয়েছিলেন। একুশের বিধানসভা ভোটের পরই দলবদল! স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন কলকাতায় এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন সুম্মিতা। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূল। নিজের রাজ্য অসম তো বটেই, ত্রিপুরায়ও এখন সাংগঠনিক দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। 


আরও পড়ুন: WB Bypoll: 'শুভকামনা নিতে এসেছি, এখানে এলে মন শান্ত হয়ে যায়', গুরুদ্বারে জনসংযোগ মমতার


এদিকে এ রাজ্য থেকে রাজ্যসভায় একটি আপাতত খালি। মে মাসে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন  মানস ভুঁইয়া। একুশের ভোটে নিজের পুরনো কেন্দ্র, পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং থেকে তৃণমূল টিকিটে ফের বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ওই আসনে ইতিমধ্যেই ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছেন কমিশন। রাজ্যসভায় এবার সুম্মিতা দেবকে প্রার্থী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কবে মনোনয়ন জমা দেবেন? সেবিষয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করতে এদিন বিধানসভা আসেন শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ। ব্রিটিশ আমলে তৈরি ভবনটি যে এত সুন্দরভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে, তা দেখে অবাক হয়ে যান তিনি।  


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)