মৌমিতা চক্রবর্তী: তৃণমূলের জনসংযোগ যাত্রায় জেলা সফরে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর নিরাপত্তার কড়া ব্যবস্থা করছে প্রশাসন। এনিয়ে এবার কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।  বুধবার এক ট্যুইট করে বলেছেন, সম্ভভত প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাতেও এত নিরাপত্তাকর্মী থাকে না। দক্ষিণ ২৪  পরগনার থানাগুলি কার্যত শূন্য করে রাখা হয়েছে। একজন লোকের জন্য এমন ব্যবস্থা কীভাবে চলতে পারে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বিরবাহার উপরে হামলা, আগামী মাসে বাংলা বনধের ডাক ১৪ আদিবাসী সংগঠনের


শুভেন্দু লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তায় থাকে স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ। স্বাভাবিকভাবেই তিনি দেশের প্রধান। তাঁর জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। অন্যদিকে, দেখুন ভাইপো প্রোটেকশন গ্রুপকে।  একদিনে ১ জনের জন্য ২২৪৫ পুলিস কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে। গোটা দুনিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান ও  ভিভিআইপিদের জন্যে যে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় তাও অভিষেকের নিরাপত্তা বহরের কাছে ফিকে লাগবে। 


রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে বিঁধে শুভেন্দু লিখেছেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা এখন তলানিতে ঠেকেছে। গত এক মাসের কথা যদি ভাবেন তাহলে দেখবেন, বিষ্ফোরেণ মৃত্যু হয়েছে অন্তত এক ডজন শিশু ও মহিলার। বহু খুনের ৃ ঘটনা ঘটছে। মহিলাদের বিরুদ্ধে একের পর এক অপরাধ হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গের  থানাগুলি কার্যত শূন্য। পুলি রাস্তা পাহারা দিচ্ছে কারণ একজন রাজনৈতিক প্রচারে বেরিয়েছেন। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর সাধারণ মানুষকে নিয়ে একেবারেই ভাবিত নয়। তাদের মাথায় এখন শুধু একজন ব্যক্তি। রাজ্যের মানুষ এখন অসহায়। কোনও খারাপ কিছু ঘটে যাওয়ার জন্য তারা অপেক্ষা করছে।



জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকায় জন সংযোগ যাত্রায় গিয়ে কয়েকবার বিক্ষোভের মুখ পড়েছেন অভিষেক। কোনও তার গাড়ি থামিয়ে দিয়েছে কুড়মি বিক্ষোভকারীরা, কোথাও বিক্ষোভকারীদের কাছে গিয়ে তাদের ক্ষোভের কথা শুনেছেন অভিষেক। তাঁদের সমস্য়া সমাধান করে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। জনগণের কাছাকাছি চলে আসার জন্য তাঁর নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কড়া ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। তা নিয়েই সরব বিজেপি।


উল্লেখ্য, গত শুক্রবার অভিষেকের কনভয়ে থাকা মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়িতে পাথর ছোড়া হয়েছে। তাতে বীরবাহার গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। ওই ঘঠনার পর শুধু হয়েছে ধরপাকড়। গ্রেফতার করা হয়েছে কুড়মি নেতা রাজেশ মাহাতোকে। রাজেশ মাহাতকে গ্রেফতারের পর ক্ষোভে ফুঁসছেন কুড়মিরাও। গ্রেফতারের প্রতিবারে তারা পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়ায় বিক্ষোভ মিছিলও কর্মসূচি করেন কুড়মিরা। এনিয়ে কুড়মি এক নেতা বলেন, শালবনিতে সিএম বলেছেন  কুড়মি জনজাতির মানুষ হামলা করতে পারে না। বিজেপির চক্রান্তে মন্ত্রীর গাড়িতে হামলা হয়েছে। আমরা শান্তিপ্রিয় মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী বলার পরওৃ আমাদের নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার জন্য পুলিসকে ধিক্কার জানাই। যিনি পশ্চিমবঙ্গ চালাচ্ছেন তিনি বলছেন কুড়মিরা জড়িত নয়, তারপরও জনজাতির মানুষকে  ওঁর পুলিস গ্রেফতার করছে। যতদিন আমাদের আন্দোলনের নেতাদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে। কুড়মিদের ঘোষণা, কুড়মি নেতা রাজেশ মাহাতোকে কোচবিহারের বদলির প্রতিবাদে এরাজ্যেরের জঙগ্লমহলেই শুধু নয়, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার কুড়মি গ্রামে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে। সরকার যা করছে তাতে প্রতিহিংসাই প্রকাশ পাচ্ছে। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)