Suvendu Adhikari: বিধানসভায় ইডি-সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস; `কোনও প্রভাব ফেলবে না`, দাবি শুভেন্দুর
`মুখ্যমন্ত্রীর ভাষাজ্ঞান ঠিক থাকে না। আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন`। অধিবেশন শেষে সাংবাদিক একথা বললেন বিরোধী দলনেতা।
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: বিধানসভায় ইডি-সিবিআইয়ের প্রস্তাব পাস। 'এই সরকার চোরদের বীরের সম্মান দেয়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছে এজেন্সি। সেই লড়াই জারি থাকবে। এই প্রস্তাব কোন প্রভাব ফেলবে না'। অধিবেশন শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রীকেও।
রাজ্যে দুর্নীতির মামলায় তদন্তে ইডি ও সিবিআইয়ের তৎপরতা তুঙ্গে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর, মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে তল্লাশি করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। কেন? এদিন বিধানসভায় সিবিআই ও ইডির বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পেশ করে তৃণমূল। ধ্বনিভোটে সেই প্রস্তাব পাসও হয়ে যায়। প্রস্তাবের পক্ষে আওয়াজ তোলেন শাসকদলের ১৮৯ জন বিধায়ক, আর বিপক্ষে বিজেপির ৬৪ জন। শুধু তাই নয়, বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধী দলনেতাকে অলআউট আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিধানসভায় সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'রাজ্যে যে ১৫টি সিবিআই তদন্ত চলছে, তার সঙ্গে বিজেপি বা কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই। সবটাই আদালতের নির্দেশ হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টে যাননি কেন? যাওয়ার সুযোগ ছিল। এরা জানে, ডাল মে কুছ কালা হ্যায়, তা যেতে পারেনি'। তাঁর আরও বক্তব্য, ভারতে সুপ্রিম কোর্ট যখন কোনও রায় দেয়, তখন তা রুলে পরিণত হয়। আজকে ১৬৯ ধারায় যে প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে, তা সম্পূর্ণ বেআইনি। আমি স্পিকারকে বলেছি, এই প্রস্তাব সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ হতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট কোনও রায় দিলে, একমাত্র সংসদই পারে সেই রায় খণ্ডন করতে বা সংশোধন করতে। অন্য কারও সে অধিকার নেই'।
বিধানসভার মুখ্যমন্ত্রীর আক্রমণেরও জবাব দিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর ভাষাজ্ঞান ঠিক থাকে না। আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন। বিরোধী দলনেতা তুই তোকারি করেছেন। যা এর আগে কখনও বিধানসভা ঘটেনি। পূর্বসূরীদের থেকে শিক্ষা নেননি মুখ্যমন্ত্রী'। সঙ্গে যোগ করেন, 'আমাদের বিজেপির বেঞ্চের দিকে এসে মুখ্য়মন্ত্রী নমস্কার করেছেন। আমরাও প্রতি নমস্কার করেছি। বিজেপি এই সংস্কৃতিতেই অভ্যস্ত। কিন্তু শারদ শুভেচ্ছা জানাতে পারেনি। পিতৃপক্ষে আমরা শারদ শুভেচ্ছা দিই না। মাতৃপক্ষ শুরু হলে মুখ্যমন্ত্রীকে শারদ শুভেচ্ছা পাঠিয়ে দেব। মহালয়ার পর'।
এদিন বিধানসভায় বিরোধী বেঞ্চের দিকে এগিয়ে শুভেন্দুকে শারদ শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে বিজেপির অন্য বিধায়কদেরও। আসন থেকে উঠে হাতজোড় করে সৌজন্য বিনিময় করেন বিরোধী দলনেতাও। প্রায় ২ বছর মুখোমুখি সৌজন্য বিনিময় করলেন মমতা-শুভেন্দু।\